ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news
লক ডাউনেও জীবন জীবিকার জন্য হবিগঞ্জ থেকে ভান্ডারিয়ায়

৪০বছরেও পেশা বদলায়নি মোতাহার আলী

 ৪০বছরেও পেশা বদলায়নি মোতাহার আলী
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

 

জীবন জীবিকার প্রয়োজনে নিজ পেশায় ছুটে চলেছেন মো. মোতাহার আলী। গেল বছরের মার্চ মাসে শুরু হয় করোনা সংক্রামন ভাইরাস (কভিড-১৯) জনিত রোগের। যা ধীরে ধীরে বৈশ্বিক উচ্চ পর্যায়ের রূপ ধারন করে। আর এই ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় থাকতে সরকার ,স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী,সামাজিক,সাংস্কৃতিক সংগঠনের মানুষ অব্যাহত ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। 
সংবাদ সংগ্রহের কাজে বের হলে (৬ এপ্রিল) মঙ্গলবার পিরোজপুরের  ভান্ডারিয়ায় উপজেলা সদরের কলেজ রোডে একটি দোকানের পাশে বসে কেসি (কাপর কাটার) সান দিতে দেখা যায় এক ব্যাক্তিকে। কেসি সাধারণত সেলুন,দর্জির দোকান ছাড়া কিছু বাসাবাড়িতে ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। এখন সেলুনে বা দর্জির দোকানে ও আধুণিক প্রযুক্তির ব্যাবহার বেশ প্রচলিত হয়ে গেছে। যেখানে নিত্য আধুনিক প্রযুক্তির দিকে যুকছে মানুষ সে সময়ে কেসি ধারানোর বিষয়টি বেশ ভাবিয়ে তোলার মত এবং এ পদ্ধতিটি বিলুপ্তির হয়ে যাওয়ার মতনও । 

এ সময় আলাপ হয় কেসি সানরত মাস্ক পরিহিত স্বাস্থ্য বিধি সচেতন অর্ধশত বছর বয়ষী মো. মোতাহার আলীর সাথে। তিনি জানান, সংসার চালাতে হলে কাজ তো করতেই হবে। আর ছোট বেলা থেকে এই কাজ শিখেছি। বাড়ি হবিগঞ্জ জেলা সদরের মৃত খোরশেদ আলীর ছেলে সে। প্রথম ২/৩টাকা দিয়ে শুরু করেন এই কাজ। টানা ৪০বছর ধরে এই একই পেশায় কাজ করছেন তিনি। নিত্য নতুন প্রযুক্তি আসলেও পেশা বদলাননি তিনি। সংসারে স্ত্রী ছেলে,মেয়ে নিয়ে পাঁচ জনের সংসার তার। ছেলেরা বড় হয়ে যে যার মত করে জীবিকা নির্বাহ করে। আধুনিক প্রযুক্তির এই সময়ে কেসি সানাই তো বিলুপ্তি হয়ে যাওয়ার কথা। কিš‘ তিনি জানালেন ভিন্ন কথা। তিনি কাজ শুরুর পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে কাজ করেন। ভান্ডারিয়ায় প্রতি সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবার এই দুই দিন হাটের দিন থাকায়  তিনি এই দীর্ঘ ৩৫বছর এই হাটে আসেন। বিলুপ্তির বিষয়ে জানান,পূর্বের তুলনায় বর্তমানে আরো ভালো। আগে ২/৩টাকায় সানাইতাম(সান দিতাম)এখন ৩০/৪০টাকায় সানাই। কাজ কমেনি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এখন আরো বেশি মানুষ কেসি সানায়। কারন আধুনিক প্রযুক্তি হল অন টাইম। আর এ গুলো এক সানে কারো ৬মাস আবার কারো এর কম বেশি সময় পর ও লাগে। হবিগঞ্জ থেকে ভান্ডারিয়ায় এসে কি ভাবে পোষায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাড়ি থেকে বের হয়ে ঘুরতে ঘুরতে আসি। এখানকার এমপি খুব ভালো আর এ বাজারে খাজনা মুক্ত কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই কাজ করে যা পাই বেশ ভালো। এই বাজারে প্রায় ৩০/৩৫ধরে আসি। এখানাকার মানুষের সাথে একটি ভালো সুসম্পর্ক গড়ে ওঠার ফলে প্রতি সপ্তাহে দুই দিন আসি। যা রোজগার হয় তা দিয়ে সংসার মোটামুটি ভালোই কাটে আলহামদুলিল্লাহ।  
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন