সন্তানরা বেঁচে গেলেও নিভে গেল বাবার জীবন প্রদীপ


আদরের দুই সন্তানকে কোলে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বাবা। হঠাৎ ছুটে আসছিল দ্রুতগতির একটি বাস। বেপরোয়া বাসটি এক মোটরসাইকেল আরোহীকে পিষ্ট করেও ক্ষান্ত হয়নি। চাপা দিল পথচারী বাবাকেও। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেই কোলের দুই সন্তানের জীবন বাঁচাতে ফেলে দেন সড়কের পাশে। এতে ছোট্ট সন্তানরা বেঁচে গেলেও নিভে যায় বাবার জীবন প্রদীপ।
বুধবার রাতে হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ-হরিণাকুণ্ডু সড়কের চান্দপুর জামতলা এলাকায়। নিহতের নাম আবু তালেব। তিনি একই এলাকার আব্দুল গফুর মোল্লার ছেলে। তার দুই সন্তান হলো- আট বছর বয়সী শাহরিয়ার ও পাঁচ বছরের আছিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে শাহরিয়ার ও আছিয়াকে কোলে আর কাঁধে নিয়ে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন আবু তালেব। এ সময় বিপরীত থেকে বেপরোয়া গতির একটি বাস আসছিল।
বাসটি একটি মোটরসাইকেলের আরোহীকে পিষ্ট করে চলে যাওয়ার সময় তালেবকেও চাপা দেয়। কিন্তু এর আগেই কোলের দুই সন্তানকে বাঁচাতে সড়কের পাশে ফেলে দেন তিনি। এতে ঘটনাস্থলে তালেব নিহত হলেও প্রাণে বেঁচে যায় দুই সন্তান।
চোখের সামনেই বাবার মৃত্যু দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়ে শিশু শাহরিয়ার। আর সামান্য আহত হয়েছে আছিয়া। তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বাসের আরো পাঁচ যাত্রী আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন।
হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষুব্ধরা। খবর পেয়ে হরিণাকুণ্ডু ও ঝিনাইদহ থেকে দমকল বাহিনী এসে আগুন নেভায়।
এইচকেআর
