উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৪ এপিবিএনের সাফল্য


কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এর সদস্যরা অত্যন্ত সাহসিকতা এবং দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। প্রথমে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নই সর্বপ্রথম পুরো রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত হয়। পরবর্তীতে ১৬ এবং ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইন-শৃংখলার দায়িত্বে নিয়োজিত হয়। এখনো উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে ১৫ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রায় ৫ লক্ষ রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা দিয়ে আসছে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নেবার পর থেকে এ পর্যন্ত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন প্রায় ১০ লক্ষ পিস ইয়াবা, ৮৫০ কেন বিদেশি বিয়ার, ৪৮ কেজি গাঁজা, ৩১টি দেশি ও বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪১ রাউন্ড গুলি, ১৯টি কার্তুজ, ৩টি ম্যাগজিন, ১ কেজি ২৫২ গ্রাম চূড়াই স্বর্ণ, নগদ ৩৭ লক্ষ ৫৩ হাজার ১২০ বাংলাদেশী টাকা এবং ৩১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮০০ মায়ানমার মুদ্রা কিয়াট উদ্ধার করেছে। তাছাড়া সর্বমোট ১৭৯৮ রোহিঙ্গা দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতারপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তারমধ্যে ৪২৫ জন মাদক ব্যবসায়ী, ১১৩ জন অবৈধ অস্ত্রধারী, দুষ্কৃতিকারী ২০৯ জন এবং ১০৫১ জনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট দ্বারা শাস্তি প্রদান করেছে।
চাঞ্চল্যকর ARSPH নেতা মহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর উক্ত হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ১৩ জন আসামিকে গ্রেফতার এবং ক্যাম্প ১৮ তে সংঘটিত সিক্স মার্ডারের সাথে জড়িত ২ জন আসামিকে ও গ্রেপ্তার করেছে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। মায়ানমারের নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠন তথাকথিত আরসা কমান্ডার আবু আম্মার আতাউল্লাহ জুনুনির ভাই শাহ আলীকে ও ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ড্রোনের সাহায্যে গ্রেফতার করে বিশেষ প্রশংসা অর্জন করেছে।
এ প্রসঙ্গে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মোঃ নাইমুল হক পিপিএম বলেন, "পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করার কারণেই এই অর্জনগুলো করা সম্ভবপর হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তায় ভবিষ্যতেও ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ান আরো নতুন নতুন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাবে।"
এমইউআর
