ঢাকা শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

Motobad news

স্ত্রী'র বড় বোনকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ: ছোট বোনের জামাই গ্রেফতার

স্ত্রী'র বড় বোনকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ: ছোট বোনের জামাই গ্রেফতার
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

নোয়াখালীর চাটখিলে স্ত্রী'র বড় বোনকে (৩২) ধর্ষণ করে ভিডিও চিত্র ধারণের অভিযোগে ছোট বোনের জামাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।

গ্রেফতারকৃত আবু বক্কর ছিদ্দিক উল্যা (৩০) উপজেলার চাটখিল পৌরসভার ৪নম্বর ওয়ার্ডের ভীমপুর গ্রামের মৃত আবুল হাশেমের ছেলে।  
 
সোমবার (২৩ মে) সকালে গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রোববার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার চাটখিল পৌরসভার ভীমপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে চাটখিল থানার পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছিদ্দিক উল্যা ২০২০ সালে স্ত্রী'র বড় বোনের ঘরে ঢুকে সুকৌশলে ঠান্ডা পানীয়র সাথে ঘুমের ওষুধ সেবনপূর্বক অচেতন করে তাকে ধর্ষণ করে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র মোবাইলে ধারণ করে রাখে।

পরে ভিডিও চিত্র ভিকটিমের স্বামী, আত্মীয়-স্বজন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে বিদেশ যাওয়ার জন্য ৫ লক্ষ টাকা আদায় করে। 

এরপর ২০২১ সালে ৭-৮ মাস প্রবাসে থেকে দেশে ফিরে পুনরায় ভিকটিমকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ তার স্বামীর সংসার থেকে বিচ্ছেদ করবে বলে পূর্বের ছবি তার স্বামী ও আত্মীয়-স্বজন সহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভিকটিমকে তার স্বামীর নিকট থেকে ২০ লক্ষ টাকা এনে দেওয়ার জন্য বলে।

একপর্যায়ে ভিকটিম তার ব্যবহৃত ৮ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ ১০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ছোট বোনের স্বামী ছিদ্দিক উল্যাকে দেন। পরবর্তীতে বিষয়টি ভিকটিম তার স্বামীকে অবগত করলে তার স্বামী স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করলে ছিদ্দিক ওই গৃহবধূর স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের খুুন করার হুমকি দেয়। 

একপর্যায়ে চলতি মাসের ১৯ মে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভীমপুর গ্রামের দাস বাড়ির সামনে গৃহবধূর স্বামীর ওপর হামলা চালায়। শেষে রোববার পূর্বের ঘটনাসহ উল্লেখ করে  চাটখিল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ছিদ্দিক উল্যার স্ত্রীর বড় বোন নিজেই।  

বিষয়টি নিশ্চিত করে চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ন কবির বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ও ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ছিদ্দিক উল্যাহসহ ২জনের নাম উল্লেখ করে ৩-৪জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামিকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

পরিদর্শক তদন্ত আরো জানায়, ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং ডিএনএ টেস্টের জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে। এছাড়া অপর আসামিকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।    


এএজে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন