পাথরঘাটায় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মসজিদের জমি দখলের অভিযোগ


বরগুনার পাথরঘাটায় সাবেক পুলিশ সদস্য ইসমাইল হোসেন মসজিদের জমি দখল করেছেন। এর প্রতিবাদ করলে মসজিদের মুসল্লিদের মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে মসজিদ কমিটিকে হয়রানি করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মিয়া এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইসমাইল হোসেন একজন সাবেক পুলিশ সদস্য। তিনি অবসরে আসার পর পাথরঘাটা উপজেলা পুলিশিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। এই ক্ষমতার অপব্যাবহার করে সদর ইউনিয়নের বড়টেংড়া বাজারের জামে মসজিদের ২১ শতাংশ জমি দখল করে। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে কয়েক দফায় সালিশ বৈঠকে মসজিদের জমি ছেরে দেয়ার জন্য ইসমাইল হোসেনকে অনুরোধ জানানো হয়। সালিশের রায় অমান্য করে মসজিদ কমিটির নামে মিথ্যা চাদাবাজী মামলা দিয়ে হয়রানী করে। বিষয়টি পাথরঘাটা থানার ওসি সরেজমিনে তদন্ত করে সত্যতা না পাওয়ায় মামলাটি খারিজ করে দেয়।
ভুক্তভোগী হারুন গাজি বলেন, আইনের কাছে ইসমাইল পুলিশ প্রতারক পরিচিত হওয়ায় তাকে পুলিশিং কমিটি থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। বর্তমানে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে একতরফা ভাবে মসজিদসহ আমাদের জমি চূড়ান্ত ডিগ্রি করে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করছে। আমরাসহ মসজিদের মুসুল্লী ও স্থানীয় লোহজন এই প্রতারকের হয়রানি থেকে মুক্তির দাবি জানান।
অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে মুঠোফোনে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি তার (হারুন গাজি) বিরুদ্ধে কোন মামলা করিনি। আমার ছেলেকে মারধর করছে তাই সে মামলা করেছি। তাছাড়া জমি তারা জবরদখল করে ভোগ করতে চায়।
মসজিদের জমির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি মসজিদ আছে, তবে সেই মসজিদের জমি কোথায় আছে তা কাগজে এখনো পাইনি।
পাথরঘাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. সাঈদ আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে প্রতিপক্ষের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনায় ইসমাইলের ছেলে মনির হোসেনকে দিয়ে পাথরঘাটা সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলার করে। পরে আমার কাছে বিজ্ঞ আদালত তদন্ত ভার দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাওয়া যায়নি। সে অনুযায়ী আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়েছে। সে একজন দুষ্ট প্রকৃতির লোক।
টিএইচএ/
