সংবাদ সম্মেলন এমপি শাহজাদার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ


পটুয়াখালী-৩ আসনের এমপি এসএম শাহজাদার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার বিকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের নলখোলা বন্দরের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ লিটন সমর্থিত যুবলীগের একাংশ।
অন্যদিক একই দিন সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন এমপি সমর্থিতরা।
উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, রোববার বিকালে দশমিনা উপজেলার বেগম আরেফাতুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ওই ইফতার মাহফিলে পটুয়াখালী-৩ আসনের এমপি এসএম শাহজাদা এমপি সমর্থিত নেতাকর্মীরা মারধরের ঘটনা ঘটান।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, মেয়াদ উত্তীর্ণ উপজেলা যুবলীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগ ছাড়া সব সহযোগী সংগঠনের কমিটি এমপি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের অগোচরে ও জেলা আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাদের ভুল বুঝিয়ে বিএনপি-জামাত সমর্থিত লোক জনদেরকে পদ-পদবী দিয়ে কমিটি করিয়েছেন। ইফতার মাহফিলের দিন কমিটি বঞ্চিতরা কমিটির বিষয় জানতে চাইলে এমপি সমর্থিতরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
এতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক সমর্থিত অন্তত ১০ জন আহত হন বলে দাবি করা হয়। মারধর চলাকালীন সময় এমপি নিজে সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য জাকির হোসেন ভুট্টোকে গলাটিপে হত্যা চেষ্টা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে আওয়ামী লীগের সম্পাদকে গালমন্দ করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়।
এ সময় আরও দাবি করা হয়, এমপি আওয়ামী লীগ পরিবারের লোক নন ও তার স্বজনরা অধিকাংশ বিএনপি-জামায়াতের লোক। বিএনপি-জামাতের সঙ্গে তার ওঠাবসা এবং বিভিন্ন প্রকল্প বিএনপি জামাত দিয়ে বাস্তবায়ন করেন বলে দাবি করা হয়। তিনি দশমিনা-গলাচিপা আওয়ামী লীগকে ধ্বংসের মিশনে নেমেছেন। সদ্য শেষ হওয়া স্থানীয় নির্বাচনে তার কারণে নৌকা পরাজিত হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়। দলীয় নেতাদের বাদ দিয়ে তিনি স্বজনদের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি বানিয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
অন্যদিক একই দিন সকালে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এমপি সমর্থিতরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান নাসির পালোয়ান দাবি করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ লিটনের সমর্থনে ইফতার মাহফিলে হামলা হয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে না করতে দিতে দলীয় কার্যালয়ে তালা দেয়া হয় বলে দাবি করা হয়।
অভিযোগের বিষয় ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, আমার কোনো লোক হামলায় জড়িত না। এমপির লোকজন হামলা করেছেন। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার জবাব এমপিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিতে হবে।
এমপি এসএম শাহজাদা বলেন, আমি কোনো রাজনৈতিক পরিবারের লোক সেটা প্রমাণ করার নতুন করে কিছু নেই। দলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মোস্তাকের উত্তরসূরিরা দলকে বিতর্ক করতে এসব করছে। সামনে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আড়ালে লুকিয়ে থাকার প্রার্থীদের ইন্ধনে এসব করা হচ্ছে। আর মারধরের ঘটনার পরে আমি সেখানে গিয়েছি। আমি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করেছি। যেটা সবাই দেখেছে।
এইচকেআর
