ফেসবুকে অপহরণ বার্তা: ৫ জনকে আটক


পুলিশের ফেসবুক পেজে `অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করা হয়েছে' এমন বার্তা পাঠান একজন ভুক্তভোগী নিজেই। এরপর পুলিশ সদর দপ্তরের দ্রুত পদক্ষেপে তৎপরতা শুরু করে স্থানীয় থানা পুলিশ।
এমনকি তাৎক্ষণিক তৎপরতায় ভুক্তভোগীকে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করার অপরাধে পাঁচ যুবককে আটক করেন তারা। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- অন্তর, নাইম, রনি, শওকত ও রকি। এ বিষয়ে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রোববার (১৬ মে) পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বেগমগঞ্জ থেকে এক যুবক বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ পরিচালিত ‘বাংলাদেশ পুলিশ' ফেসবুক পেজের ইনবক্সে জানান, তিনি অপহৃত হয়েছিলেন। পরে তিনি ও তার পরিবার মুক্তিপণ দিয়ে সেখান থেকে মুক্তি পান।
বার্তা পেয়ে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ ওই যুবক ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। অভিযোগকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়। তিনিও বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেন।
প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ জানায়, অভিযোগকারী যুবক নিজেই মাদকাসক্ত। সে তার এক ভাইয়ের সঙ্গে ওই এলাকায় মাদক সেবন করতে গিয়েছিলেন। এলাকায় তাকে নতুন পেয়ে অন্য ছেলেরা তাকে হেনস্থা করে আটকে রাখে। তার কাছে যে টাকা পয়সা ছিল তা ছিনিয়ে নেয়। পরে আরও ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে তারা ছাড়া পায়। টাকা আদায় করতে অভিযোগকারীকে মারধরও করা হয়।
এ পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দ্রুততম সময়ে ৫ জনকে আটক করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, অভিযোগকারীও ভবিষ্যতে কখনই মাদক সেবন করবেন না বা মাদকের সঙ্গে কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা রাখবে না মর্মে মুচলেকা দেন। প্রয়োজনে ভুক্তভোগী ও অভিযোগকারীকে মাদকাসক্তি থেকে ফেরাতে চিকিৎসকের সহায়তা নিতেও পরামর্শ দেওয়া হয়।
কে.আর
