আমতলী পায়রা নদীর ব্লকপাড়ে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়


মরনঘাতি করোনাভাইরাস ঘরে রাখতে পারেনি সৌন্দর্য ও ভ্রমন পিপাসু দর্শনার্থীদের। পবিত্র ঈদুল ফিতরে উপলক্ষে করোনার ভয়ে ঘরে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে ওঠা মানুষরা জনজীবনে একটু সুখের পরশ পেতে বরগুনার আমতলী পৌরসভার কোলঘেষে প্রমত্ত্বা পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীর ব্লকপাড়ে ছুটে এসেছেন। দুই দিনে ওই স্পটে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।
গতকাল (শুক্রবার) ও আজ (শনিবার) বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আমতলী উপজেলা ও পৌরশহরের বিভিন্ন স্থান থেকে শিশু ও বৃদ্ধসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নানা বয়সের কয়েক হাজার নারী-পুরুষ এখানে ঘুরতে আসেন। ঘুরতে আসা অধিকাংশ ভ্রমণ পিপাসু দর্শনার্থীদের সামাজিক দূরত্ব স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।
অপরদিকে পায়রা নদীর ব্লকপাড়ে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী, চটপটি ও ফুসকাসহ নানা পণ্যের দোকান বসেছিল। প্রতিটি দোকানে খাদ্যসামগ্রী কিনতে দর্শনার্থীদের ভীর লক্ষ করা গেছে। তবে বেশী ভীর ছিলো ফুসকা ও চটপটির দোকানগুলোতে।
পায়রা নদীর ব্লকপাড়ে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী নিজামুল হক বলেন, মহামারী করোনার কারনে ঘরে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে উঠেছি। তাই পরিবারের সকলকে নিয়ে এখানে একটু ঘুরতে আসলাম। তবে আজকে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভীর লক্ষ করা গেছে। তিনি আরো বলেন, পায়রা নদী ভাঙ্গনে পাড়ের ব্লকগুলো সরে যাওযায় এখানের সৌন্দর্য দিন দিন হাঁরিয়ে যেতে বসেছে।
শিশু দর্শনার্থী মাহিদ জানায়, সে তার ভাই বোনদের সাথে এখানে ঘুরতে এসেছে। নদীর পারে খেলাধুলা করেছে, ছবি (সেলফি) তুলেছে এবং ফুচকাও খেয়েছে।
চাকুরীজিবী, শিক্ষিকা, গৃহবধূ, শিক্ষার্থীসহ পায়রা নদীর ব্লকপাড়ে ঘুরতে আসা একাধিক দর্শনার্থীরা জানায়, মহামারি করোনার ভয়ে এতদিন বাসা থেকে কেহ তেমন একটা বের হয়নি। পবিত্র ঈদুল ফিতরে উপলক্ষে অনেকেই পরিবার ও বাচ্ছাদের নিয়ে এখানে একটু ঘুরতে আসছে। তবে এখানে আগত দর্শনার্থীদের অধিকাংশ সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না। এতে করোনা সংক্রমনের আশস্কা রয়েছে।
কে.আর/এমএএসকে
