বরিশালের মহাসড়কে বাড়ছে যান, চলছে দূরপাল্লার পরিবহন


বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে যানবাহনের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। আবার চলাচল শুরু করেছে দূরপাল্লার বাসও। তবে মহাসড়কে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে তিন চাকার বৈধ এবং অবৈধ যানবাহনের বেপরোয়া গতি। সেই সঙ্গে ঢাকাগামী যাত্রীদেরকে গুনতে হচ্ছে বহুগুন বেশি ভাড়া।
শনিবার (১৫ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক, বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক, বরিশাল-খুলনা মহাসড়কে দেখা গেছে, সকালের দিকে রাস্তা অনেকটা ফাঁকা থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে গাড়ির সংখ্যাও বাড়তে থাকে। মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, ট্রাক, আন্তজেলা পরিবহনের পাশাপাশি মহাসড়কে চলতে দেখা গেছে দূরপাল্লার বাসও। বেপরোয়াভাবে চলাচল করতে দেখা গেছে তিন চাকার থ্রি-হুইলারগুলোকে।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা যাবার উদ্দেশ্যে বরিশালের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে দুই শিশু পুত্র এবং স্ত্রীকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানার সুপারভাইজার হাফিজুল ইসলামকে। তিনি মতবাদকে জানান, ‘এখান থেকে সারাবছর যাতায়াত করি সর্বোচ্চ ৫শ থেকে ছয়শত টাকা ভাড়ায়। কিন্তু এখন মাওয়া পর্যন্ত বাস ভাড়া যাওয়া হচ্ছে জনপ্রতি ৮শ থেকে এক হাজার টাকা।
অপরদিকে, ‘সরকারি বিধি নিষেধ অনুযায়ী দূরপাল্লার বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। শুধুমাত্র আন্তঃজেলা বাস চলাচল করবে। কিন্তু বাস্তবে এমন চিত্র দেখা যায়নি। বরং প্রকাশ্যেই দূরপাল্লার বাসে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। এ ক্ষেত্রে পুলিশ বাঁধা দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরিশাল-মাওয়া রুটের একটি যাত্রীবাহী পরিবহনের একজন সুপারভাইজার মতবাদকে বলেন, ‘ঈদের দুদিন আগে থেকেই আমরা এ রুটে সীমিতভাবে যাত্রী পরিবহন করছি। সরকারি নিষেধাজ্ঞর কারণে ঈদের আগে প্রথম দিন পুলিশ বাধা দিয়েছিল। কিন্তু এখন আর বাধা পাচ্ছি না। আমরা বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে মাওয়া আবার মাওয়া ঘাট থেকে যাত্রী এনে বরিশালে নামিয়ে দিচ্ছি।
তবে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে গৌরনদী হাইওয়ে থানা পুলিশ বলছে, সকাল থেকেই এ রুটে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে আন্তঃজেলা বাস চলাচল করছে। মহাসড়কের পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান তারা।
এদিকে, ‘বরিশাল-পটুয়াখালী এবং বরিশাল-ঝালকাঠি-খুলনা রুটেও সীমিতভাবে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে বরিশাল-পটুয়াখালী রুটে ফেরি থাকায় দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে পারছে না। আঞ্চালিক বাস বরিশাল থেকে লেবুখালী ফেরিঘাট পর্যন্ত গিয়ে যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে। যাত্রীরা নদী পার হয়ে ওপর থেকে পটুয়াখালীসহ অন্যান্য জেলা উপজেলার বাসে যাত্রা করছেন।
কে.আর
