বরিশালে শেষ মুহুর্তে জমজমাট ঈদ বাজার


ঈদের আগে জমে উঠেছে বরিশালের মার্কেটগুলোতে বেচাকেনা। তবে মহামারি করোনা ভাইরাসরোধে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার বিষয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নেই তেমন আগ্রহ।
বুধবার (১২ মে) দুপুরে সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন মার্কেটে ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। চকবাজার এলাকার ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা হলে সেখানে অধিকাংশ মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত বলে মতামত দেন।
একইসঙ্গে ঈদের বেচাকেনায় ক্ষেত্রে পুরো স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনা বলেও জানান তারা। দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতাদের বেশিরভাগই মাস্ক পরছেন, তবে কেউ কেউ আবার মাস্ক মুখে না পরে থুতনি এবং মুখের নিচে পরেছেন। করোনা ভাইরাসরোধে নিরাপদ শারীরিক দূরত্বও রক্ষার বিষয় পুরোটাই উপেক্ষিত হতে দেখা যায়।
রুপাতলী থেকে বাচ্চাদের জন্য জামা-কাপড় কিনতে আসা সুমি বলেন, সারা বছর ধরে শুধু রোজার ঈদেই বাচ্চাদের জামা-কাপড় কিনে দিচ্ছি। তাই বাচ্চাদের মুখের দিকে তাকিয়ে করোনার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও মার্কেটে এসেছি। আমতলা এলাকা থেকে আসা নাসিমা বলেন, এভাবে ভিড়ের মধ্যে আসা উচিত না, তারপরেও বাধ্য হয়েই আসতে হয়। কারণ আমরাতো আর বড় বড় মার্কেটে যেতে পারি না।
তাই আমাদের মতো মানুষদের হাজী মহসিন মার্কেটে ভিড়ের মধ্যেই কেনাকাটা করতে হয়। হাজী মহসিন মার্কেটের সামনে ফুটপাতে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী বিক্রেতা নয়ন বলেন, বেচাকেনা যা হচ্ছে খারাপ না। গতবারতো আমরা বেচাকেনাই করতে পারিনি।
দোয়া করি, শিগগিরই যেন সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যায়। আমরাও বেচাকেনা করে পরিবার নিয়ে ডালভাত খেতে পারি। শিশুদের ড্রেস বিক্রেতা লিটন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। বেচাকেনা যা হয়েছে তাতে আলহামদুলিল্লাহ, পরিবার-পরিজন নিয়ে মোটামুটি ঈদ করতে পারবো।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলী সুজা বলেন, মোবাইল কোর্ট অভিযান অব্যহত রাখা হয়েছে । স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্বের বিধান না মানায় অনেকই জরিমানা করা হয়েছ ।
এইচকেআর
