ঢাকা শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • সামনের নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে দিতে হবে: রেজাউল করীম ইঁদুরের গর্ত থেকে শেখ হাসিনার সম্পত্তি বের হচ্ছে: বরিশালে রিজভী বাবুগঞ্জে মাটি কাটার অপরাধে ৩ ইট ভাটাকে জরিমানা  বরিশালে ভাড়াবাসায় মিলল স্কুলশিক্ষকের লাশ পাড়ায় পাড়ায় প্রতিবাদের সংস্কৃতি গড়ে তুলন: নাহিদ ইসলাম কলাপাড়ায় লেক থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার গোপালগঞ্জে সহিংসতাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে ঢাকায় এনসিপির বিক্ষোভ পরিকল্পিতভাবে গাজার সব ভবন ধ্বংস করে দিচ্ছে ইসরায়েল: বিবিসি অবশেষে ঢাকায় চালু হচ্ছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের মিশন জুলাই সনদ তৈরির প্রক্রিয়া হতে হবে স্বচ্ছ ও মানুষের কাছে দৃশ্যমান: প্রধান উপদেষ্টা
  • সড়কের কাজে ধীরগতি; ধূলায় অতিষ্ঠ জনজীবন

    সড়কের কাজে ধীরগতি; ধূলায় অতিষ্ঠ জনজীবন
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    কাজের তাগিদ দিয়ে সংশ্লিষ্টদের চিঠি এবং একাধিকবার সময় বর্ধিত করার পরেও পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় একটি সড়ক নির্মাণ ফেলে রাখা হয়েছে। কাজ শেষ না করে মাঝামাঝি অবস্থায় ফেলে রাখায় পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা পরেছেন মহাদুর্ভোগে। সড়কের ধূলা-বালুতে পথিকের নাজেহাল অবস্থা আর আশপাশের বসবাসকারীরা পোহাচ্ছেন দুর্ভোগ।  

    উপজেলার সদর ইউনিয়ন রাঙ্গাবালীর পশুরীবুনিয়া গ্রামের প্রধান সড়কের গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।


    স্থানীয়রা বলেন, তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে সড়কটি নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মহিব্বুর রহমান মহিব। এরপর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সড়কটি নির্মাণ কাজ শুরু করে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে পুরো সড়কে বালু ও ইটের খোয়া ফেলে রোলার দিয়ে চাপ দিয়ে দেয়। কিন্তু সড়কের অনেক স্থানে ঠিকমতো খোয়া না দেওয়ায় এবড়ো-থেবড়ো হয়ে গেছে। বর্ষার দিনে গাড়ি চলতে পারে না। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। আর বর্তমানে ধূলা-বালিতে হাঁটা-চলা যায় না। আর ধূলার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ আশপাশের বাড়ির মানুষ।

    উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, 'গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (পটুয়াখালী ও বরগুনা) প্রকল্পের' আওতায় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার রাঙ্গাবালী সদর ইউনিয়নের কাছিয়াবুনিয়া লঞ্চঘাট থেকে পশুরবুনিয়া আলী আশরাফ ফরেস্টারের বাড়ী পর্যন্ত’ ৩ হাজার ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যে ও ৩ মিটার প্রস্থ্যের এই সড়কটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। এমডিএইচ ও এসএইচই-এ দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর যৌথভাবে সড়কটি নির্মাণ কাজ করার কার্যাদেশ পান। সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৩ কোটি ১৯ লাখ ৮৩ হাজার ৩০৯ টাকা।

    এদিকে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কের ৪৫ শতাংশ কাজ ফেলে রেখে এর মধ্যে সড়ক নির্মাণ কাজ বাবদ ১ কোটি ৩ লাখ টাকার একটি বিলও তুলে নিয়েছেন। পাশাপাশি সড়কটি নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য সময়ও বর্ধিত করে একাধিকবার। ২০২১ সালের জুন মাসে সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখনো অসমাপ্ত রয়ে গেছে ৫৫ শতাংশ কাজ। ফলে ধূলা-বালির যন্ত্রণায় ভোগান্তিতে থাকেন সড়কের দুই পাশের মানুষ। সড়কের দুই পাশের বাড়িঘর, গাছপালা ইটের খোয়ার ধুলোয় বর্ণিল হয়ে রয়েছে। ধূলায় যানবাহনের যাত্রী ও পথচারীদের চলাচলে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।

    সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. আলী আশরাফের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলী মো. মিজানুল কবির জানান, বিষয়টি আমরা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকেও অবহিত করেছি এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার চিঠি ও মুঠোফোনে বলেছি। সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য বারবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।


    এইচকেআর
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ