তিন মাসের মাথায় লাশ হলো গৃহবধূ, শাশুড়ি-দেবরসহ গ্রেপ্তার ৩


পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিয়ের তিন মাসের মধ্যেই গৃহবধূ রুমানা আক্তারকে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। পরে তার লাশ হাসপাতালে রেখে স্বামী ও স্বজনরা পালিয়ে যায়। পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের চত্রা গ্রামে।
অন্যদিকে এ ঘটনায় রুমানার মা মোসা. সাজেদা বেগম বাদী হয়ে রুমানার স্বামী বেল্লাল হাওলাদার, শ্বশুর শহিদুল হাওলাদার, দেবর টিপু ফেরদাউস, শাশুড়ি মোসা. ঝরনা বেগম ও ননদ সীমা বেগমকে আসামি করে গলাচিপা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনা সম্পর্কে বুধবার বেলা ১টায় থানায় প্রেস ব্রিফিং করেন গলাচিপা থানার ওসি এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম।
মামলার বাদী মোসা. সাজেদা বেগম ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিন মাস আগে বেল্লালের সাথে রুমানার বিয়ে হয়। প্রথমে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও পরে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রুমানার সাথে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন খারাপ আচরণ করত। বিভিন্ন ঘটনায় তাকে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, দেবর ও ননদ মারধরও করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে রুমানার স্বামী বেলাল্লা মোবাইলে জানান রুমানা অসুস্থ। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে রুমানার বাবা-মাসহ স্বজনরা গলাচিপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখেন রুমানা মারা গেছেন। সেখানে স্বামীর বাড়ির কোনো লোকজন নেই।
এ প্রসঙ্গে গলাচিপা থানার ওসি এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, 'আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রুমানার শ্বশুরবাড়ির কাউকে পাইনি। পরে তাদের বাড়িতে গেলে ঘর তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখি। '
তিনি আরো বলেন, নিহত গৃহবধূর গলা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন আছে। যাতে স্পষ্ট তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এইচকেআর
