নোয়াখালীতে ব্যাংক কর্মকর্তার ১২ বছরের কারাদণ্ড


ব্যাংকের সাসপেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে একুশ লাখ আট হাজার আটশত টাকা আত্মসাৎ করার অপরাধে নাছির উদ্দিন মাহমুদ নামে যমুনা ব্যাংকের এক এক্সিকিউটিভ অফিসারকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাকে ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
সোমবার (২৮ মার্চ) বিকেলে জেলা স্পেশাল জজ কোর্টের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
দণ্ডপ্রাপ্ত নাছির উদ্দিন মাহমুদ লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া এলাকার আবদুল মন্নানের ছেলে।
দুদক নোয়াখালী কার্যালয়ের তথ্যমতে, আসামি নাছির উদ্দিন মাহমুদ যমুনা ব্যাংক লিমিটেড রায়পুর শাখায় এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন ওই শাখার সাসপেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে ২১ লাখ ৮ হাজার ৮ শত টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করে। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ মার্চ ব্যাংকের ব্যবস্থাপক শাহ নেওয়াজ বাদি হয়ে রায়পুর থানায় নাছির উদ্দিনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান শিকদার তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দুদকের পিপি আবুল কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুনানি শেষে দণ্ডবিধি ৪০৯ ধারায় আসামিকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় আরও ৫বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলো না।
এসএম
