ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

অর্থের অভাবে শেষ হয়নি বেড়িবাঁধ নির্মাণ

অর্থের অভাবে শেষ হয়নি বেড়িবাঁধ নির্মাণ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

কচাঁ, সন্ধ্যা, কালীগঙ্গা নদীবেষ্টিত পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার অধিকাংশ ফসলি জমি ও বাড়িঘর বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে অরক্ষিত। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে কয়েকশ' একর ফসলি জমি।  

এসব জমি সাধারণ জোয়ারের পানিতে ডুবে যাওয়ায় রবিশস্য উৎপাদন করতে পারেন না কৃষক। অসময় জমি পানিতে ডুবে যাওয়ায় কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয় প্রতি বছর।  যে কারণে এসব জমিতে কৃষক রবিশস্য উৎপাদন করতে পারে না। 

কৃষি ফসল ও বাড়িঘর রক্ষার জন্য স্বাধীনতার পর অল্পকিছু বেড়িবাঁধ নির্মাণ হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, জলোচ্ছ্বাসসহ সিডর, আইলা ও আম্পানের মতো বড় বড় ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে বেড়িবাঁধগুলো। মাঝে মধ্যে বাঁধগুলো পুন:নির্মাণ হলেও তা বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কায় ধুয়ে মুছে যায়।  

এলাকাবাসীর দাবির পরিপেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২১ এপ্রিল সরকারের ওই সময়ের পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ভিটাবাড়িয়া থেকে শিয়ালকাঠী পর্যন্ত কচাঁ নদীর তীরবর্তী এই বেড়িবাঁধ পুন:নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পটি ভাণ্ডারিয়া অংশে কাজ শেষ করে কাউখালী অংশের সামান্য কিছু কাজ শুরু করার পরই বন্ধ হয়ে যায়। 

অদ্যাবধি অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ার কারণে প্রকল্পের বাকি কাজ সমাপ্ত করতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। উপজেলার সবচেয়ে প্রান্তিক এলাকা শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের কচাঁ নদীর তীরবর্তী এলাকার পশ্চিম ফলইবুনিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষক মো. সাইয়েদুল আলম জানান, জোলাগাতী থেকে শাপলেজা ও ফলইবুনিয়া পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ১৯৮৬ সনে শাহাবুদ্দিন তালুকদার চেয়ারম্যান থাকাকালীন সংস্কারের মাধ্যমে নির্মাণ করা হয়। 

এরপর ২০০৬ সনে আংশিক কিছু সংস্কার করা হয়েছিল। এরপর থেকে আর কোনো সংস্কার বা মেরামত করা হয় নাই; যার ফলে আজ নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে বসেছে এ পানি রক্ষা বাঁধটি।  জাতীয় পার্টির শিয়ালকাঠী ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান আলী মোল্লা জানান, কয়েক যুগ আগে পানি রক্ষা বাঁধ  নির্মাণের ফলে এলাকার বাড়িঘর ও ফসলি জমি রক্ষা করার জন্য এই বাধ খুবই ফলপ্রসু হলেও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়া বা পুন:নির্মাণ না করায় বাঁধের তিনের দুই ভাগই সিডর, আইলায় ভেসে গেছে;  ফলে জনদুর্ভোগ চরম পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। 

পিরোজপুর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও প্রকৌশলী সৈয়দ মহাসিন উল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালে পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ এবং তৎকালীন পানিসম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং সেই সময় মন্ত্রণালয় থেকে কিছু থোক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সেই টাকা দিয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে ভাণ্ডারিয়া অংশের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং কাউখালী জোলাগাতি  অংশে সামান্য  কিছু  কাজ হয়েছিল। পরবর্তী সময় আর কোনো বরাদ্দ না পাওয়ায় বাকি কাজ করা সম্ভব হয় নাই।

এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. খালেদা খাতুন রেখা জানান, বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অবহিত করা হয়েছে। এখন সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান। 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন