রাজাপুরে বেইলী সেতু সংস্কার নিয়ে এলজিইডি ও সওজ’র ঠেলাঠেলি


ঝালকাঠির রাজাপুর থানার সামনে বদ্ধভূমি সংলগ্ন ষ্টীল ব্রীজের উত্তর প্রান্তের একটি পাত (স্লাব) ভেঙ্গে গর্ত হয়ে মরণ ফাঁদের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়িতই ঘটছে দুর্ঘটনা। অথচ দেখার কেউ নেই।
এদিকে সড়ত ও জনপদ বলছে সেতুটি তাদের আওতায় না। একইভাবে এলজিইডিও বলছে সেতুটি তাদের আওতায় না। দু’বিভাগরে এমন ঠেলাঠেলিতে সংস্কার হচ্ছে না সেতুটি। সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রীজটির সকল পাত ভালো থাকলেও উত্তর প্রান্তের দুটি পাত বিভিন্ন স্থান থেকে অগনিত ছিদ্র হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।
কিছুদিন আগে ওই স্থানের মাঝের পাতটি ভেঙ্গে গর্ত হলে কয়েক দিন ভোগান্তির পরে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য তারিকুল ইসলাম তারেক ব্যক্তি উদ্যোগ ও খরচে মেরামত করেছিলেন। বর্তমানে আগের মেরামত করা স্থানটির পাশ থেকেই আগের মতোই একটি গর্ত হয়েছে।
এতে প্রায়ই রিক্সা, অটো ও মোটর সাইলের চাকা আটকে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন ওই বাহনের চালক, মালিক ও যাত্রীরা। স্থানীয়রা জানান, ব্রীজটি দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন বাহনসহ হাজার হাজার মানুষ পারাপার হচ্ছেন। এটা রাজাপুর সদরের অত্যন্ত একটি গুরুত্বপুর্ণ ব্রীজ। এমনকি ব্রীজটি থানার সামনে হওয়ায় পুলিশের ঝালকাঠি জেলা সদরের সাথে দ্রতভাবে যোগাযোগ করার একমাত্র উপায়। তাই ব্রীজটি ভালোভাবে মেরামত করা খুবই জরুরী। দিন দিন একটু একটু ছিদ্র মেরামত না করে ওই নষ্ট হওয়া পুরা পাত দুটি (স্লাব) পাল্টিয়ে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে স্থানীয়রা দাবি জানিয়েছেন।
এবিষয়ে রাজাপুর এলজিইডি প্রকৌশলী মোঃ গোলাম মস্তফা জানান, সড়ক এলজিইডি’র হলেও ষ্টীল ব্রীজের দায় দায়ীত্ব এলজিইডি’র নয়। এ বিষয়ে ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদের উপ-বিভাগিয় প্রকৌশলী মোঃ হুমায়উন কবির বলেন, সড়ক আমাদের নয়, তাই ষ্টীল ব্রীজের দায়দায়ীত্বও আমাদের নয়। আসলে ব্রীজটি কার?
এইচকেআর
