ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

চমেকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, তদন্ত কমিটি গঠন

চমেকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, তদন্ত কমিটি গঠন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায়-দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাতে চমেক ছাত্রবাসে মারধরের ঘটনার জের ধরে শনিবার সকালে দুই দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এ ঘটনায় উভয় পক্ষের তিনজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। বিকাল ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

আহতরা হলেন- মাহফুজুল হক (২৩), নাইমুল ইসলাম (২০) এবং আকিব হোসেন (২০)। তিনজনই চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন।

চমেক সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টায় চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে ঘটনার সূত্রপাত।  আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারীরা মারধর করে। এ ঘটনার জের ধরে শনিবার সকাল ৯টায় দুই গ্রুপ  সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে মহিবুল হাসানের অনুসারী এক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করা হয়। এরপর থেকেই ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চমেক একাডেমিক কাউন্সিল জরুরি সভা ডাকে।

চমেক অধ্যক্ষ সাহেনা আকতার জানান, একাডেমিক কাউন্সিলের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি বিকাল ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে অধ্যাপক মতিউর রহমানকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়।

পাঁচলাইশ থানার ওসি জাহিদুল কবির যুগান্তরকে বলেন, শুক্রবার রাতের ঘটনার জের ধরে সকালে ছাত্রলীগের দুইপক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল রাতে ছাত্রলীগের দুইপক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরদিন ২৮ এপ্রিল উভয়পক্ষের মধ্যে দফায়-দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত পাঁচজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে নাছির গ্রুপের অনুসারী দুইজন ইন্টার্ন চিকিৎসক ছিলেন।

সংঘর্ষের মধ্যে ইন্টার্ন চিকিৎসক আহত হওয়ার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দাবি, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ, ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের বহিষ্কার, ক্যাম্পাস ও ছাত্রাবাসে ইন্টার্নদের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন