স্বরূপকাঠিতে চলছে জাটকা নিধনের মহোৎসব


পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে বেড়জাল দিয়ে জাটকা ও চরগড়া দিয়ে ছোট মাছ নিধনের মহোৎসব চলছে। উপজেলা সদরের পৌর এলাকার পার্শ্ববর্তী সন্ধ্যা নদীতে প্রতিনিয়ত বেড় জাল দিয়ে জাটকা নিধন করা হচ্ছে। উপজেলা সদরের ফেরিঘাট ও ছারছীনা পীর সাহেবের বাড়ির সামনে, অলঙ্কারকাঠি-মাগুরারর সন্ধ্যা নদীর চরে চরগড়া দিয়ে প্রতিনিয়ত ছোট মাছ নিধন চলে অহরহ। উপজেলা মৎস্য অফিসকে বার বার জানানো হলেও প্রতিকারে কোন উদ্যোগ নেই তাদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে মাত্র আধাকিলোমিটার দূরে দক্ষিণ স্বরূপকাঠির গনমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পশ্চিমদিকে সন্ধ্যা নদীতে একদল লোক দ্রুত বেড়জাল তুলতে ব্যস্ত। এসময় তীরে পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেন স্বপন দাঁড়িয়ে ছিলেন। সাংবাদিকরা ওখানে পৌছালে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পেছনের বাড়ির বেশ কয়েকজন মহিলা দৌড়ে নদীতে নেমে তড়িঘরি করে জাল টেনে নৌকায় তুলে নেয়। এসময় কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেন স্বপন দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। এ সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল হককে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। দেড় ঘণ্টা পরে ফোন দিয়ে বলেন বাথরুমে ছিলাম। এরই মধ্যে ওই জেলেরা জাল নিয়ে নিরাপদে সরে পরতে সক্ষম হয়।
পুনরায় ওই এলাকায় জাল ফেলছে জেলেরা। এমন খবর পেয়ে বিষয়টি মৎস্য অফিসারকে জানালে তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে সাংবাদিকদের জানান। আপনি কোথায় আছেন জানতে চাইলে বলেন বাসায়। অনেক জিজ্ঞাসার একপর্যায়ে বলেন বরিশালে বাসায় রয়েছেন। পরে ওই এলাকায় গিয়ে জাল বা জেলেদের আর পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার এক যুবক বলেন, আপনারা আসার কিছুক্ষণ পূর্বে মসজিদের সামনে থাকা এক লোক ফোন পান। এরপর সে ফোন করে বলতে থাকেন, জাল নিয়ে দ্রুত সরে পর। তিনি জানান, মসজিদের সামনে দোকানে লোক বসা থাকে ম্যাজিস্ট্রেট নামার আগেই তারা ফোন পেয়ে সব কিছু সামলে নেন। ওই এলাকার প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি জাল পাতার নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন। মৎস্য অফিসে দীর্ঘদিন কর্মরত এলাকার লোকজনের সঙ্গে এদের দহরম মহরম রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার করোনায় অক্রান্ত। বিষয়টি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বশির গাজীকে জানালে তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
টিএইচএ/
