কলাপাড়ায় স্ত্রীর যৌতুকের মামলায় স্বামী কারাগারে


পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্ত্রী হাফছা বেগমের দায়ের করার যৌতুকের মামলায় স্বামী মো. আকতারুজ্জামান মোড়ল (৩৫) কে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শোভন শাহরিয়ার’র আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের আদেশ প্রদান করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ফরিদগঞ্জ গ্রামের আ. রহিম মোড়লের ছেলে আকতারুজ্জামান মোড়লের সাথে ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামের বাবুল মৃধার মেয়ে মোসা. হাফছা বেগমের ২০১২ সালের ২৮ জুন রেজিষ্ট্রি কাবিনমুলে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় হাফছা'র বাবা তার মেয়েকে গলায়, কানে, হাতের স্বর্ণালঙ্কারসহ যাবতীয় সাংসারিক মালামাল দেয় বলে মামলায় উল্লেখ করেন।
বিয়ের শুরু থেকে আকতারুজ্জামান মোড়লকে ব্যবসার জন্য হাফছা'র শ্বশুর আ. রহিম মোড়ল, শাশুড়ি আছিয়া বেগম এবং মো. জিয়া মোড়ল ও মো. নজরুল ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। ওই যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার জানালে তার উপর চলে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। সর্বশেষ চলতি বছরের গত ৫ জুন দুপুরে শ্বশুরবাড়ি'র দাবিকৃত যৌতুকের ৫ লক্ষ টাকা হাফছা'র বাবা বাড়ি থেকে আনার জন্য বললে, সে রাজি না হওয়ায় বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
এই ঘটনাটি হাফছা'র বাবা-মাকে মোবাইল ফোনে জানালে তারা ঘটনার দিন বিকালে এসে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে যৌতুকের ৫ লক্ষ টাকা দিলে সংসার করতে পারবে না হলে পারবে না বলে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদেরকে ঘর থেকে বের করে দেয়। পরে হাফছাকে নিয়ে বাড়ি চলে যায়। এরপর হাফছা'র শ্বশুরবাড়ির লোকজন কোন খোঁজ খবর না নিলে বাধ্য হয়ে হাফছা'র গত ৯ জুন শ্বশুর আ. রহিম মোড়লর (৬০), শাশুড়ি আছিয়া বেগম (৫০) এবং নাজমা বেগম (৩৫), মো. জিয়া মোড়ল (৩২) ও মো. নজরুল (৫০) কে আসামি করে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি যৌতুকের মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৬১৪/২০২১। ওই মামলা প্রধান আসামী মো. আকতারুজ্জামান মোড়ল বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা না মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
এইচেকআর
