কলাপাড়ায় টাকা আত্মসাৎ মামলায় আইনজীবীর সহকারী কারাগারে


কলাপাড়ায় খাসজমি বন্দোবস্ত করে দেওয়ার নাম করে টাকা আত্মসাতের মামলায় আইনজীবী সহকারী জামাল হোসেন আফজাল (৪৮) কে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দিকে কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শোভন শাহরিয়ার’র আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের আদেশ প্রদান করেন।
উল্লেখ, মামলার বাদী মো. আমির হোসেন মৃধা গত ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর ও ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত খাস জমি বান্দোবস্ত করে দেওয়ার জন্য আসামি জামাল হোসেন আফজাল কে নগদ ছয় লক্ষ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান করে। সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি নেয়, এবং আগামী ছয় মাসের মধ্যে তাকে খাসজমি বন্দোবস্ত করে দেবে এমন অঙ্গীকার করে।
সময়সীমা শেষ হলে আসামিকে বন্দোবস্ত জমির জন্য তাগিদ করলে নে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল-জালিয়াতি ভাবে কাগজপত্র তৈরি করে। মিস কেস নং-২৭০কে/ ৭২-৭৩ মূলে জে, এল নং-২৮ মনসাতলী মৌজার এস, এ ১৮৯ নং খতিয়ান দাগ নং-১৫৬১ হইতে ৭.৫০ একর জমি তার নামে বন্দোবস্ত কেসের ভূয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে। যা অন্যের লোকের নামে রয়েছে।
গত ১১ মার্চ-২০২১ তারিখে কলাপাড়া পৌর শহরের মমতা শপিং মল উত্তর পাশে কালভার্টের উপর ওই আত্মসাৎ টাকা ফেরত চাইলে আসামী দেবে না বলে জানিয়ে দেয়। একপর্যায়ে আসামি উত্তেজিত হয়ে আমির হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে জিআই পাইপ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর রক্তাক্ত হয়।
পরবর্তীতে তার কাছে টাকা চাইলে তাকে খুন ও জখমের হুমকি দিয়ে আসামি চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আমির হোসেনকে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা করান। এই বিষয় নিয়ে কলাপাড়া উপজেলা চৌকি আদালত আইনজীবীর বরাবর ন্যায়-বিচার পাওয়ার জন্য আবেদন করলে আইনজীবীরা আসামিকে নোটিশ দেয় যে ২০ মার্চ-২০২১ তারিখে সালিশী বৈঠক দিন ধার্য্য করলে আসামি উল্টো বিজ্ঞ আদালতে আমির হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আমির হোসেন আসামির সাথে আপোষ ফয়সালার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আদালতে জামাল হোসেন আফজাল কে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-৩১০/২০২১। মামলার এ্যাডভোকেট জেড এম কাওছার।
রোববার আদালতে জামিন চাইতে এলে আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জামাল হোসেন আফজালকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
এইচেকআর
