আনোয়ারায় ভাসমান দোকান ও অবৈধ স্ট্যান্ড: অসহনীয় যানজট


আনোয়ারা উপজেলার বন্দর-সিইউএফএল সড়কের সেন্টার মোড়ে অসহনীয় নিত্য যানজটে যাত্রীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। মূল সড়কের উপর কয়েকটি ভাসমান ফলের দোকান ও অবৈধ অটোরিকশা স্ট্যান্ডের কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টি হলেও প্রশাসন বা সিইউএফএর কর্তৃপক্ষ যানজট নিরসনে কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। প্রতিদিন কেইপিজেড ছুটি হলে এ সড়কে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগেই থাকে। অটোরিকশা সড়কের উপর সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করাইয়ে যাত্রী উঠানামা করা এবং ৬টি ভাসমান ফলের দোকানের কারণে নিত্য যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
ভুক্তভোগী পথচারী ও কেইপিজেডে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, প্রতিদিন সেন্টার মোড়ে যানজটে অতিষ্ঠ হতে হয় অটোরিকশা ও ফলের দোকানগুলোর কারণে। সিইউএফএফ কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও আমলে নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। যানজটের বিষয়ে সিইউএফএলের ভূমি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম লাভলু বলেন, এই যানজট নিয়ে আমরা নিজেরাও অতিষ্ঠ। ইতিমধ্যে আমরা জেলা প্রশাসক বরাবরে দরখাস্ত দিয়েছি। আশাকরি শীঘ্রই এই অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হবে।
তিনি আরো জানান, প্রতিদিন আমাদের সারকারখানার গাড়িগুলো আসা যাওয়ার সমস্যা হচ্ছে। রোগী নিয়ে শহরে গাড়ি যাতায়াতের ব্যাঘাত হচ্ছে । কর্ণফুলী বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুর রহিম বলেন, সড়কের উপর রিকশাগুলো নিয়ে অনেক অভিযান পরিচালনা করেছি। পরবর্তীতে আবারো রাস্তার উপর তুলে রাখে। গবীর দুঃখী মানুষগুলো রিকসা চালিয়ে সংসার চালায় সেজন্য মানবিক চিন্তা করা হয়। না হয় অটোরিকশাগুলো নিষিদ্ধ। তবে কয়েকদিনের মধ্যে সড়কটি কিছুটা হলেও যানজট মুক্ত করতে রিকশাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এ ব্যাপারে আনোয়ারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, যেহেতু সড়কটি সিইউএফএলের নিজস্ব। সুতরাং যানজট নিরসনের জন্য সিইউএফএল কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এস, এম, সালাহ্উদ্দীন / এইচকেআর
