‘কবরী রোডে’ আর যাওয়া হলো না কবরীর
1.jpg)

করোনা কেড়ে নিল বাংলা চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল তারাকে। করোনার কাছে হার মেনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী।
শনিবার ( ১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী। এরই মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটলো ঢাকাই সিনেমার ‘মিষ্টি মেয়ে’ নামের বর্ণিল এক অধ্যায়ের।
তবে মৃত্যুর আগে 'কবরী রোড' শেষ ইচ্ছে পূরণ হয়নি মিষ্টি মেয়ে কবরীর।
১৯৬৯ সালে কবরী অভিনীত ‘কখগঘঙ’ সিনেমার শুটিং করা হচ্ছিল চুয়াডাঙ্গা শহরের ‘সেতাব মঞ্জিল’ নামের বাড়িতে। সিনেমার খাতিরে ওই বাড়িতেই থাকতেন কবরী-রাজ্জাকসহ সিনেমার পুরো টিম। আর সেই বাড়িকে কেন্দ্র করেই ওই পুরো রাস্তার নাম হয়েছে কবরী রোড।
কবরীর ইচ্ছা ছিল তিনি একবার সড়কটি দেখে যাবেন। কিন্তু শেষ ইচ্ছা আর পূরণ হলো না অভিনেত্রীর। ইচ্ছা অপূর্ণ রেখেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।
‘কখগঘঙ’ সিনেমার চিত্রগ্রাহক ছিলেন প্রয়াত বেবী ইসলাম। শুটিং এর খরচ কমাতে নিজ শহর চুয়াডাঙ্গায় সিনেমার চিত্রগ্রহণ করছিলেন। সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা। চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে শুটিং করা হয় সিনেমার। পরে ১৯৭২ সালে মুক্তির পর দর্শকহৃদয়ে জায়গা করে নেয় ‘কখগঘঙ’।
সেই সময়ে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন ১৭ বছর বয়সী নায়িকা কবরী। কবরী যে বাড়িতে থাকতেন উৎসুক লোকজন সবাই দেখতে আসতেন। ভিড় জমাতেন শুটিং এর সময়। কবরী রোডের ওই বাড়ি এখন পরিণত হয়েছে ‘কবরী মেসে’। কবরী আজ নেই কিন্তু কবরী রোড বেঁচে থাকবে চিরকাল। বাঙালির হৃদয়ে আজীবন বেঁচে থাকবেন কবরী।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঢালিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
/ইই
