আমতলীতে ভর্তুকিতে ধানকাটার মেশিন, খুশি কৃষকরা

বরগুনার আমতলী উপজেলায় ধানকাটার অত্যাধুনিক কম্বাইন হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটছেন কৃষকরা। ৭০ ভাগ ভর্তুকিতে এসব মেশিন বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। উপজেলায় ৮টি কম্বাইন হার্ভেস্টার বিতরণ করা হয়েছে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে।
জানা গেছে, কম্বাইন হার্ভেস্টার মেশিনে আউশ ধানকাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক এ মেশিন পেয়ে খুশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিসহ এলাকার কৃষকরা। এতে কম সময়ে কম খরচে ধানাকাটা উপজেলার কৃষি উন্নয়নে এ মেশিন কৃষকদের মাঝে নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে বলেও দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ দিকে উপকারভোগী রুহুল আমিন ও হুমায়ুন কবির মনে করেন, এই মেশিন তাদের আয়ের দ্বার খুলে দেবে। মেশিন পেয়ে খুশি তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরাও। উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, দেশের কৃষিখাত এখনো মানুষ, পশুশক্তি ও সনাতন খামার যন্ত্রাংশের ওপর নির্ভরশীল। গত তিন দশকে জমি চাষ ও সেচব্যবস্থা যান্ত্রিকীকরণের কারণে শস্যের পরিচর্যা অনেক উন্নীত হয়েছে। শস্যের নিবিড়তা বা পরিচর্যা বাড়ার কারণে দুই ফসলের মধ্যবর্তী সময় অর্থাৎ এক ফসল কাটা ও অন্য ফসলের জন্য জমি তৈরি করে ফসল লাগানোর সময় কমেছে। কিন্তু ধানকাটা নিয়ে শ্রমিক সঙ্কট লেগেই আছে। সূত্র বলছে, ধানটাকা দেশের কৃষির ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ধানকাটতে কৃষককে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। ফলে কৃষক কাঙ্ক্ষিত মুনাফা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কম্বাইন হারভেস্টার যন্ত্রের সফল ব্যবহারের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানী গ্রামের রুহুল আমীন বলেন, অনেক স্বপ্ন ছিল এমন মেশিন কেনার। কিন্তু সামর্থ্য ছিল না। সরকার আমার সেই স্বপ্ন পুরন করেছে। ৭০ ভাগ ভর্তুকিতে একটা মেটাল হার্ভেস্টার পেয়েছি। এজন্য কৃষি অফিস ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
আমতলী সদর ইউনিয়নের মো. নাসির মুন্সী বলেন, আমি কৃষক। সরকার আমাকে একটি মেশিন দিয়েছে। অনেক আগে থেকেই আমার আশা এমন একটা মেশিন কিনবো। সামর্থ্য ছিল না। শেষ পর্যন্ত কৃষি অফিসের মাধ্যমে আমার দীর্ঘ দিনের আশা পুরণ হয়েছে। আউশের মৌসুমে আমি অনেক লাভবান হতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম বলেন, আমতলীতে ৭০ ভাগ ভর্তুকিতে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৮টি কম্বাইন হার্ভেস্টার বিতরণ করা হয়েছে। মেশিন পেয়ে কৃষক অনেক খুশি। এমেশিন দিয়ে আমাদের কৃষিশ্রমিক যে সঙ্কট রয়েছে, তা সামাল দিতে পারবো। আমি আশা করি, এভাবেই আমাদের কৃষি এগিয়ে যাবে।
এইচেকআর
