ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

আমতলীর সাবেক ইউএনও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে  মামলা 

 আমতলীর সাবেক ইউএনও আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে  মামলা 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরগুনার আমতলীর  সদ্য সাবেক  উপজেলা নির্বাহী অফিসারের  বিরুদ্ধে আমতলীর সহকারী জজ আদালতে মামলা হয়েছে। উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর কালামপুর হাতে মিয়া দাখিল মাদ্রাসায় জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দেওয়ায় এ মামলা করা হয়। গত ১৯ আগস্ট ওই মাদ্রাসার মৌলভি আব্দুল মতিন বাদী হয়ে সাবেক ইউএনওসহ আটজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। 

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার আসামিদের প্রতি সমন জারি করেছেন। অন্যদিকে আরেক শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন বরগুনা জেলা প্রশাসকের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মামলা ও মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের উত্তর কালামপুর হাতেমিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল হাই অবসরে যাওয়ার পর ১ মার্চ থেকে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন সিনিয়র সহকারী মৌলভি মোয়াজ্জেম হোসেন। 

আদালতের রায়ে পরিচালনা পরিষদ স্থগিতাদেশের কারণে ওই মাদ্রাসায় পদাধিকার বলে সভাপতি হন আমতলীর সাবেক ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান। তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে বিদায়ী সুপারের দায়িত্ব অর্পণ করা ভারপ্রাপ্ত সুপার মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দিয়ে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে শিক্ষক প্যাটানের ৬ নম্বর ক্রমিকের অপেক্ষাকৃত জুনিয়র সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামান কবীরকে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দেন। এ সময় আমতলীর সাবেক ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান রেজুলেশন খাতার সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে কামরুজ্জামান কবিরকে ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে দায়িত্ব দেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। 

একজন সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দেওয়ায় ওই মাদ্রাসার সিনিয়র সহকারী মৌলভি মো. আব্দুল মতিন খান ১৯ আগস্ট আমতলী উপজেলা সহকারী জজ আদালতে ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান, ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. কামরুজ্জামান কবিরসহ আটজনকে বিবাদী করে মামলা করেন। বাদীর মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী জসিম উদ্দিন জানান, আদালতের বিচারক আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের প্রতি সমন জারি করেন।

 অন্যদিকে, ওই মাদ্রাসার বিদায়ী সুপারের দায়িত্ব দেওয়া সিনিয়র সহকারী মৌলভি মোয়াজ্জেম হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ইউএনও জুনিয়র সহকারী শিক্ষক কামরুজ্জামান কবিরকে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দেওয়ায় মোয়াজ্জেম হোসেন ক্ষুব্ধ হয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের পর বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। 

 মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমতলীর সাবেক ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তাকে অব্যাহতি দিয়ে জুনিয়র একজন সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দিয়েছেন। ইউএনও মো. আসাদুজ্জামানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

 বরগুনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে তদন্তের চিঠি পেয়েছি। সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে বরগুনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। 
 


এইচেকআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন