ঝালকাঠিতে বাজার বসছে যথাস্থানেই, স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা কেউ


কঠোর লকডাউনের মধ্যেই ঝালকাঠিতে বাজার ও রাস্তাঘাটে জনসাধারণের ভিড় জমেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই ঘর থেকে বের হচ্ছে মানুষ। গত দুইদিন সকাল থেকে শহরের বাজারগুলোতে গাদাগাদি করে কেনাকাটা করছে জনসাধারণ। কারো মুখে মাস্ক আছে, আবার কারো নেই। সামাজিক দূরত্ব মানছেন না মানুষ। সরকার উন্মুক্ত স্থানে কাঁচাবাজার নেওয়ার ঘোষণা দিলেও ঝালকাঠিতে তা মানা হচ্ছে না। বাজার উন্মুক্ত স্থানে সরানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করলেও অটোরিকশায় যাতায়াত করছে মানুষ।
শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, ঝালকাঠির প্রধান বাজার ও চাঁদকাঠি চৌমাথা বাজার, সাধনার মোড়, ফায়ার সার্ভিস মোড়, কলেজ মোড় ও লঞ্চঘাট এলাকায় মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে পুলিশ ও র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে। শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ অবস্থান নিয়ে একাধিক যাত্রী বহন করলে যানবাহন থেকে নামিয়ে দিচ্ছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্নস্থানে অভিযান চালাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে মাইকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
প্রধান বাজারে মাস্ক ছাড়া বেচাকেনা করার সময় কয়েকজন ক্রেতা ও বিক্রেতাকে প্রশ্ন করা হলে তাঁরা জানান, প্রচন্ড গরমে বেশিক্ষণ মাস্ক পরে থাকা যাচ্ছে না। অনেকেই বাসা মাস্ক নিয়ে আসতে মনে নেই বলেও জানান। সাংবাদিকদের দেখে কেউ পকেট থেকে মাস্ক বের করে তড়িঘড়ি করে পরেন।
ঝালকাঠি সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সভাপতি ইলিয়াস সিকদার ফরহাদ বলেন, বাজারে এখনো মানুষের ভিড় আছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হয়নি। কোন বিধি নিষেধই মানছেন না। প্রশাসনের আরো কঠোর ভূমিকা রাখা উচিৎ। অন্তত পক্ষে বাজারগুলো উন্মুক্ত স্থানে সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। নইলে করোনার সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আহমেদ হাছান বলেন, শহরের বাজারগুলো উন্মুক্ত স্থানে সরানোর ব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে মানুষকে সচেতন করার জন্য আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে আছে। কেউ আইন না মানলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
টিএইচএ/
