আমতলীতে কঠোর লকডাউনে প্রশাসনের ব্যাপক নজরদারি


মরনঘাতি করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত ৭ দিনের কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে বরগুনার আমতলী পৌরশহরসহ উপজেলা সর্বত্র প্রশাসনের ব্যাপক নজরদারি ছিল চোঁখে পরার মত ।
বৃহস্পতিবার সকালে পৌর শহর ঘুরে দেখা গেছে, জনসাধারনকে সরকার ঘোষিত ৭ দিনের কঠোর লকডাউন মানতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বিভিন্নস্থানে টহল দিচ্ছে । তারা হ্যান্ডমাইক নিয়ে লকডাউনে করনীয় সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করছেন। পৌর ও উপজেলা শহরের বেশ কয়েকটি স্পটে আইশৃংঙ্খলা বাহিনী চেকপোস্ট বসিয়েছে। তারপরেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে রাস্তায় অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও মানুষের সমাগম কিছুটা বাড়তে থাকে।
তবে তা অন্যান্য দিনের চেয়ে কম ছিল। তবে উপজেলার কোথাও বিজিবি, নৌ ও সেনাবাহিনীর কোন সদস্যকে টহল দিতে দেখা যায়নি। দুপুরে কথা হয় পৌর শহরের নতুন বাজার চৌরাস্তা এলাকার জাফর নামে এক অটোরিক্সা চালকের সাথে। লকডাউনের মধ্যে কেন বের হয়েছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, বের না হলে আমার পরিবার- পরিজন নিয়ে কি খাবো। আমার বাসায় তো কেউ খাবার পৌঁছে দিবে না? তাই বের হয়েছি। আয়- রোজগার করতে না পারলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে।
জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না আসার জন্য বলা হলেও অনেককে মুখে মাস্ক পড়ে বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে এসে লকডাউন কেমন চলছে তা দেখার জন্য বের হতে দেখা গেছে। কথা হয় পৌরসভার সদর রোডের এক বাসিন্ধার সাথে (নাম প্রকাশের না করার শর্তে) তিনি বলেন, আসলে ঘরের বাহিরে আমার কোন কাজ নেই, এবারের লকডাউন কেমন চলছে তা দেখতেই ঘরের বাহিরে বের হয়েছি। আমতলী থানার পরিদর্শক (ওসি) মোঃ শাহআলম হাওলাদার বলেন, আমতলী উপজেলার সিমান্ত এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্নস্থানে পুলিশ টহলে রয়েছে।
মানুষকে কঠোর লকডাউন মানাতে ও সচেতন করতে প্রচার- প্রচারনা অব্যাহত আছে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, কঠোর লকডাউন মানতে উপজেলা প্রশাসন ও আইশৃংঙ্খলা বাহিনী মাঠে কাজ করছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন রেডক্রিসেন্ট, বিএনসিসি, স্কাউটের সদস্যরাও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে কাজ করছে। যারা লকডাউন মানবে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে প্রশাসন। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জেল জরিমানা করা হবে। তিনি আরো বলেন, যে কোন মূল্যে সরকার ঘোষিত ৭দিনের কঠোর লকডাউন পালন করা হবে।
এইচকেআর
