ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

Motobad news

ভান্ডারিয়ার ছোট্ট স্মৃতি আলোচিত নায়িকা পরীমণি

ভান্ডারিয়ার ছোট্ট স্মৃতি আলোচিত নায়িকা পরীমণি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ৪নম্বর ইকড়ি ইউনিয়নের সিংহখালী গ্রামের ছোট্র স্মৃতি ঢাকায় বর্তমান সময়ে আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। তার আসল নাম শামছুন্নাহার স্মৃতি। সিংহখালী গ্রামে নানাবাড়িতে তার জন্ম। এস.এস.সি পরীক্ষার সনদ অনুযায়ী ১৯৯২ সালে সে জন্মগ্রহণ করেন। পরীমণির নানী মৃত ফাতিমা বেগম ১০৩ নম্বর দক্ষিণ সিংহখালী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (বর্তমানে সরকারি) প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। 

পরীমণির প্রাথমিক শিক্ষা শুরু সেখানেই। সেই বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক পরীমণির চাচাতো নানা বেলায়েত হোসেন গাজী সাংবাদিকদের জানান, স্মৃতি (পরীমণি) ঐস্কুল থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে বৃত্তি পেয়েছিল। সিংহখালী গ্রামে পরীমণির জন্মস্থান গাজী বাড়িতে সাংবাদিকরা গেলে সেখানে দেখা যায় সাজানো গোছানো একতলা একটি পাকা বাড়ি । বাড়িতে তার ছোট খালা ও খালু রয়েছেন। 

নানা সাবেক শিক্ষক সামছুল হক গাজী ঢাকায় নাতনীর কাছে বেড়াতে গেছেন। জানা যায়, পরীমণির বাবার বাাড়ি খুলনা বিভাগের সাতক্ষিরা জেলায়। স্মৃতির (পরীমণি) বাবা মনিরুল ইসলাম সিংহখালী গ্রামসংলগ্ন ভগীরথপুর বাজারে পুলিশ ফাঁড়িতে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন । চাকুরির সুবাদে  পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে সিংহখালী গ্রামের সামছুল হক গাজীর বড় মেয়ে সালমা সুলতানাকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। 

পরীর নানা সামছুল হক গাজী ভগীরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন। স্মৃতির বয়স যখন তিন বছর, তখন মায়ের মৃত্যু হয়। নানা-নানীর কাছে বড় হওয়া স্মৃতি (পরীমণি) পঞ্চম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর ভগীরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে মানবিক বিভাগে এসএসসিতে অকৃতকার্য হন। 

পরের বছর ২০১১ সালে জিপিএ ৩.৩৮ পেয়ে পাস করেন বলে নিশ্চিত করেছেন বর্তমান প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন। এলাকারবাসি জানান, লেখাপড়া করা অবস্থায় ভগীরথপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে এক ব্যাংক কর্মকর্তার ছেলে ইসমাইল হোসেনের সাথে স্মৃতির (পরীমণি) প্রথম বিয়ে হয়। সে বিয়ে দুই বছরের বেশি টেকেনি। তবে তাদের বিয়ে ও দাম্পত্য জীবন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ইসমাইল। তার পর পরীমণি নানার তত্ত্বধানে ঢাকায় চলে যান বলে এলাকায় জনশ্রুতি  রয়েছে। 

মেজো খালা ও নানী মারা যাওয়ার পর ছোট খালা তাসলিমা পাপিয়ার স্নেহে থাকতেন আজকের পরীমণি। এলাকাবাসী জানান, নানী মারা যাওয়ার পর একসময় পরীমণি নানা ও খালার কাছে বেড়াতে আসতেন। ২০১২ সালে দুর্বৃত্তদের হাতে তার বাবা নিহত হন বলে জানা গেছে।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন