মার্কিন প্রেসিডেন্ট শিক্ষা এ্যাওয়ার্ড লাভ ভাণ্ডারিয়ার কৃতি শিক্ষার্থী মাইসা খাঁনের


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমেরিকানদের সাথে প্রতিযোগিতা করে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত ছাত্র -ছাত্রীরা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কৃতিত্ত্ব ও সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। আমেরকিায় বসবাসরত পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া পৌর শহরের সম্ভ্রান্ত খাঁন বাড়ির সন্তান মাইসা খাঁন শিক্ষাক্ষেত্রে এবারও মার্কিন শিক্ষা এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
মাইসা খাঁন এ বছর একই স্কুল থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে উচ্চ শিক্ষার জন্য স্টোনি ব্র”ক ইউনির্ভাসিটি ওয়াইজ অনার্স প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। মাইসা খাঁন ২০১৪ সালেও বারাক ওবামা স্বাক্ষরিত প্রেসিডেন্ট এক্সিলেনসি এ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন এবং এবার পেলেন প্রেসিডেন্ট জোবাইডেন স্বাক্ষরিত প্রেসিডেন্ট এক্সিলেনসি এ্যাওয়ার্ড।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে যে সকল ছাত্র-ছাত্রীরা সকল বিষয়ে শতকরা ৯০ ভাগ বা তার বেশি নম্বর পান তারা এই প্রেসিডেন্ট এ্যাওয়ার্ড এর জন্য মনোনীত হন। আমেরিকার শিক্ষা বিভাগ ১৯৮৩ সাল থেকে এ পুরস্কার চালু করেন।
ইতিপূর্বে মূলধারার অর্থাৎ খোদ আমেরিকানরা শিক্ষাক্ষেত্রে এ ধরনের কৃতিত্ত¡ অর্জন করলেও বর্তমানে বাংলাদেশীসহ এশিয়ান বংশোদ্ভুতরা চরম প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পুরস্কারসহ বিভিন্ন কৃতিত্ত¡ ও স্বীকৃতি লাভ করছেন। শিক্ষার্থী মাইসা খাঁন আমেরিকা থেকে তার বাবার ব্যাবহৃত ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে বলেন, একজন বাংলাদেশী হিসেবে এ অর্জনে গর্ববোধ করছি।
এ জন্য দেশের মানুষের দোয়া কামনা করছি। ভবিষ্যতে উচ্চ শিক্ষায় আরও সফলতা অর্জন করতে চাই। এ বিষয়ে মাইসা খাঁন এর বড় চাচা ভাণ্ডারিয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ম.মহিউদ্দিন খাঁন দীপু বলেন, বাংলাদেশী আমেরিকানদের এ ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে মার্কিন সরকারের বিভিন্ন বিভাগে বাংলাদেশী আমেরিকানদের সংখ্যা আরও বাড়বে এবং তারা গুর”ত্বপূর্ণ ও উচ্চপদে তাদের অবস্থান সুদৃঢ় হবে। আমার সোনার বাংলাদেশ দেশ সমৃদ্ধ হবে।
এইচকেআর
