রাজাপুরে দিনমজুরের পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে কিশোর গ্যাং!


ঝালকাঠির রাজাপুরের বড় গালুয়া গ্রামে পাওনা ৪শ’ টাকা না দিতে পারায় দিনমজুর নাঈম হাওলাদারের বাড়িতে কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্যরা দলবল গিয়ে বসতঘর হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে নারী ও শিশুসহ ৪ জনকে আহত করে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার বিকেলে ওই বাড়িতে সরেজমিনে গেলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ইজিবাইক ও মোটর সাইকেল নিয়ে মহড়া দিতে দেখা গেছে। তাদের কারেন ওই এলাকায় স্কুল মাদ্রাসা ও কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে গোপনে নাঈমের স্ত্রী তানিয়া বেগম থানায় গিয়ে অভিযোগ দিলে সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কিশোর গ্যাং চক্রের ভয়ে আহত নাঈম হাওলাদার (২৬) ঘরের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। অপর আহতরা হলেন, নাঈমের স্ত্রী তানিয়া বেগম (২৩), মা মিনারা বেগম (৪০), মামি লাইজু বেগম (৪৫)।
আহত নাঈম অভিযোগ করে জানান, উপজেলার বড় গালুয়ার পাকাপুল এলাকার ছোমেদের ছেলে ফেরদৌসের কাছ থেকে আমড়ার ব্যবসা শ্রমিক নাঈম ৫ দিন আগে বাটন মোবাইল জামানত রেখে ৪শ’ টাকা ধার আনেন। ওই ধারের টাকা গত বৃহস্পতিবার বিকেলে গালুয়া মাদ্রাসা এলাকায় আমড়ার বস্তা বাধার কাজ করার সময় পাওনা টাকা চাইলে দিতে না পারায় ফেরদৌস তার দুই সহযোগী ফয়সাল ও রাব্বি মিলে নাঈমকে মারধর করে।
মারধরে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে নাঈমের হাতে থাকা আমড়ার বস্তা বাধার রশি কাটার জন্য ছুরির আচড় লাগলে ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ধ্যায় ফেরদৌস, ফয়সাল ও রাব্বিসহ ২০/২৫ জন মিলে দিনমজুর নাঈমের বসতঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় বাধা দিতে গেলে মিনারা, তানিয়া ও লাইজু বেগমকে নির্যাতন করে তারা।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত ফেরদৌসের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও ফোন রিসিভ না করে কেটে দিয়ে বন্ধ করে রাখে। এ বিষয়ে ঝালকাঠির সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (রাজাপুর সার্কেল) মাসুদ রানা জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এইচকেআর
