চাচা মেয়র মানেই আমি মেয়র, আওয়ামী লীগ সব সময়ই ঐক্যবদ্ধ- সাদিক আবদুল্লাহ


বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘নগরবাসীর সাথে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। তাতে আমার মেয়র থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই। আমার চাচা মেয়র মানে আমিই মেয়র। ১২৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২৫টিতে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছে। আমি মনে করি এটি বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের জয়লাভ। জননেত্রী শেখ হাসিনার জয়লাভ এবং এটা খোকন সেরনিয়াবাতের জয়লাভ।
আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলে বরিশাল সিটির বর্তমান মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
এর আগে সদ্য সমাপ্ত বরিশাল সিটি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্ছিত হন সাদিক আবদুল্লাহ। মনোনয়ন পান তাঁর চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত। এরপর থেকে খোকন সেরনিয়াবাতকে ঘিরে আওয়ামী লীগে আগের কোনঠাসা একটি গ্রুপ সক্রিয় হতে শুরু করে।
এমনকি আওয়ামী লীগের মধ্যে শুরু হয় প্রকাশ্য গ্রুপিং। দলীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচনের সময় ঢাকায় অবস্থান করেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। সেই সুযোগে তাঁর অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিভিন্ন স্থাপনা দখলে নেয় সাদিক বিরোধীরা। এ নিয়ে অনেকটা উৎকণ্ঠা বিরাজ করছিল দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে।
তবে ২ মাস ২১ দিন পর গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সাথে বরিশালে ফেরেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এতে প্রাণ ফিরে পায় তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে দিনব্যাপী আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন সাদিক আবদুল্লাহ।
সকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এসময় তাঁর সাথে মহানগর এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে বরিশালের সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো বিভক্তি হয় না। আওয়ামী লীগ সবসময় একতাবদ্ধ। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আমরা সংগঠনকে আরো গতিশীল করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মেয়র।
মেয়র বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, আমাদের সাধ্য অনুযায়ী এই শান্তির বরিশাল নগরী আমরা শান্তিতেই রাখার চেষ্টা করবো।
২৪ জুন একই দিন বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ এবং আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ঘিরে পাল্টাপালি কর্মসূচিতে কোন বিশৃঙ্খলার শঙ্কা আছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘আগেও বরিশালে এ ধরনের কর্মসূচি হয়েছে। আশাকারী শান্তি বজায় থাকবে।
নগরীতে ইজারা প্রতিষ্ঠান জবর দখল কিসের লক্ষ্মণ? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, ‘গত পাঁচ বছর আপনারা দেখেছেন বরিশাল শান্তির নগরী ছিলো। কিছু লোকজন সবসময় ছিলো, ভবিষ্যতেও থাকবে বর্তমানেও আছে। যারা সুবিধার জন্য আসে এই দলে। সুবিধা নিয়ে চলে যায়। আজকে যদি এই দল ক্ষমতায় না থাকে, এদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ- বীর বিক্রমসহ জেলা ও মহানগরের নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরজেএন
