ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

ঘূর্ণিঝড় মোখা আতঙ্কে ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিষখালী নদী তীরের মানুষ

 ঘূর্ণিঝড় মোখা আতঙ্কে ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিষখালী নদী তীরের মানুষ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাবে ঝালকাঠিতে সকাল থেকেই আকাশ মেঘাছন্ন। গুমট আবহাওয়ায় সুগন্ধা ও বিষখালী নদী তীরের মানুষের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট পানি বেড়েছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে শুক্রবার রাত থেকে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে মাইকিং করা হচ্ছে।

যে কোন ঘূর্ণিঝড়ে কাঁঠালিয়া সদর বড় কাঠালিয়া, আমুয়া, আওরাবুনিয়া, জাঙ্গালিয়া ও রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়াসহ বিষখালী নদী তীরবর্তী নিন্মাঞ্চলের গ্রাম প্লাবিত হয়। তাই বিষখালী নদীর বাঁধ অরক্ষিত থাকায় পানি ঢুকে প্লাবিত হওয়া আতঙ্কে দিন পার কছে ভাঙনকবলিত এলাকার বাসিন্দারা। 

এদিকে ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় তৃতীয় দফায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সভা করেছে। শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। 

৬১টি সাইক্লোন শেল্টার ও ৩৬৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি দপ্তরে আলাদা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলার ৩২টি ইউনিয়নে একটি করে মেডিকেল টিমসহ মোট ৩৮টি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১৬০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম।

তিনি ঝড়-জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলায় প্রতিটি দপ্তরের কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। ঝড় শুরু হওয়ার আগেই নদী তীরের মানুষগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে। জেলায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ৮০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। পাশাপাশি গবাদি পশু রাখার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আশ্রয় নেওয়া মানুষের জন্য পর্যাপ্ত শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম।

 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন