ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news
ঘূর্ণিঝড় মোখা

ঝালকাঠিতে খুলে দেওয়া হয়েছে সাইক্লোন শেল্টার, প্রস্তুতি সম্পন্ন

ঝালকাঠিতে খুলে দেওয়া হয়েছে সাইক্লোন শেল্টার, প্রস্তুতি সম্পন্ন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ঝালকাঠি- ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্স্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় প্রাথমিকভাবে ৬২টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়ার পাশাপাশি নিরাপত্তায় প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ বাহিনী ও চিকিৎসা সেবায় ৩৮টি মেডিকেল টিম।

এছাড়া স্কাউট, রেড ক্রিসেন্টের সমন্বয়ে ১৬০ জন তরুণ-তরুণীর স্বেচ্ছাসেবকের টিম তৈরি করা হয়েছে। জেলার সব উপজেলায় খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এসব তথ্য জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। আরও জানানো হয়, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে যেগুলো ঝালকাঠি সদরসহ তিনটি উপজেলার যে কোনো প্রান্তে চিকিৎসা সহায়তা দেবে। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিতদের জন্য শুকনা খাবারসহ ২লাখ পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ৫শ পিস স্যানিটারি ন্যাপকিন, ৩শ পিস প্লাস্টিকের বালতি, ৩০ পিস অস্থায়ী ল্যাট্রিন, ২৫ পিস ছোট বড় পানির ট্যাংক সরবরাহ করা হবে।

এদিকে জেলার বিষখালি নদীর তীরে অবস্থিত রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের মঠবাড়ি, আমুয়া, শৈলোঝালিয়া ইউনিয়নে স্থায়ী বেড়িবাঁধ না থাকায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী অতিরিক্ত পানিতে প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।

কাঁঠালিয়া উপজেলার বাসিন্দা সাকিবুজ্জামান সবুর জানান, আমাদের এখানে স্থায়ী বেড়িবাঁধ না থাকায় অনেক সময় অতি জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এখন আসন্ন ঝড়ে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোরালো প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

গতকাল শুক্রবার সকালে কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে জনশূন্য দেখা গেছে। সাধারণ লোকজন এখনো সেখানে আসেনি। এ নিয়ে তাদের মাঝে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্বেগও লক্ষ্য করা যায়নি।

আশরাফুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় স্থলভাগে আসতে এখানো দুই/তিন দিন সময় লাগবে তাই হয়তো এখনো কেউ আশ্রয়কেন্দ্রমুখি হয়নি। যদি পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায় তাহলে নি¤œআয়ের লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে চলে আসবে।

মগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আশ্রয়কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত মোসা. শাহনাজ আক্তার জানান, বিগত ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের সময়ে এখানে কিছু মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। এরপর আর কোনো ঝড়ের আগে কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে আসেনি। মূলত লোকজন তাদের গৃহপালিত পশুপাখি রেখে আসতে চায় না। তবে আমাদের আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, তারা চাইলে যে কোনো সময় এখানে চলে আসতে পারবেন।

এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম বলেন, সরকারি দপ্তরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা সাধারণ জনগণকে সচেতন করার জন্য কাজ করবেন, যাতে তারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসে এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়।
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন