সংশোধিত বৃত্তির ফলে নাম নেই, মন খারাপ আয়েশা ও জিদনীর


আয়েশা আক্তার জান্নাতি ও জিদনী আক্তার যূথীর বাড়ি পাশাপাশি। বরগুনার আমতলী উপজেলার কাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রথম প্রকাশিত ফলে দুজনই বৃত্তি পায়। পরদিন সংশোধিত বৃত্তি পরীক্ষার ফলে দেখা যায়, আয়েশা ও জিদনী কারও বৃত্তির তালিকায় নাম নেই। এতে দুজনেরই ভীষণ মন খারাপ হয়েছে। এ নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ভয় ও শঙ্কা কাজ করছে।
জিদনী আক্তারের মা সারমিন নাহার বলেন, ‘আমার মেয়ের নাম বৃত্তি পরীক্ষার প্রথম ফলে এলেও সংশোধিত ফলে আসেনি। এতে মেয়েটি আর স্কুলে যেতে চাচ্ছে না। আমাদের আত্মীয়স্বজন ও পাড়াপ্রতিবেশী সবাই জানেন, মেয়ে বৃত্তি পেয়েছে। এখন আবার ফলের তালিকায় নাম নেই। এটা অসম্মানজনক।’
আয়েশা আক্তারের মা রেনু বেগম বলেন, ‘প্রথম ফল প্রকাশের পর স্কুল থেকে আমাকে ফোন করে শিক্ষকেরা বলেছিলেন, আয়েশা বৃত্তি পেয়েছে। সেই আনন্দে আমরা সবাইকে মিষ্টি খাইয়েছি। পরে শুনি ফল স্থাগিত করা হয়েছে। আবার ফল প্রকাশ করা হলে আমাদের জানানো হয় যে সে বৃত্তি পায়নি।’
কাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা শাহীন বলেন, এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তারা দুজনই মেধাবী শিক্ষার্থী।
এইচকেআর
