তুরস্কে নিখোঁজ ছেলের সন্ধানে অঝোরে কাঁদছেন বৃদ্ধা মা

তুরস্ক প্রবাসী নিখোঁজ সন্তান রুবেল মাহামুদ সোহাগের সন্ধানে অঝোরে কাঁদছেন তার বৃদ্ধা মা পিয়ারা বেগম। বরগুনার বেতাগী উপজেলার ঝোপখালী গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ আকনের সন্তান রুবেল মাহামুদকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় মায়ের কান্নায় প্রতিবেশিরাও কাঁদছেন।
স্বজনদের দাবি, কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে ২০১০ সালে দুবাই পাড়ি জমায় রুবেল। এর ২৫-২৬ দিন পর ওমান যান। ওমান থেকে ২০১২ সালে তুরস্ক পৌঁছে সেখান থেকে নিখোঁজ হন রুবেল। অধ্যাবধি তার কোনো সন্ধান না মেলায় পরিবার আজও চরম হতাশায় ভুগছে।
রুবেলের বৃদ্ধা মা পিয়ারা বেগম বলেন, ছোট ছেলে সিঙ্গাপুর প্রবাসী মামুন কবীরের সঙ্গে মুঠোফোনে রুবেলের শেষ কথা হয়। মোবাইলে কবীরকে রুবেল বলেছিল ও গ্রীসে যাবে। এরপর আজ ১০ বছর অবধি ওর কোনো সন্ধান পাচ্ছিনা। কিন্তু ওর মোবাইল নম্বর খোলা রয়েছে। ঘটনার প্রথম দিকে ফোন দিলে অন্য লোকে রিসিভ করে কথা বলতো।
তিনি আরো বলেন, জার্মান প্রবাসী কুমিল্লা জেলার ফতেপুরের দালাল আবু তাহের রুবেলকে বিদেশে নিয়েছিল। পরে রুবেলের খোঁজ না পেয়ে দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে জানায় তুরস্ক থাকা অবস্থায় রুবেলের পায়ে গুলি লাগেছে এবং আটক রয়েছে। মুক্ত করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। নানা অজুহাতে এভাবে আমার থেকে ৫ লাখ ও সিঙ্গাপুর প্রবাসী ছোট ছেলের থেকে ১৩ লাখ টাকা মোট ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। টাকা নেয়ার পর ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়াতো দূরের কথা এর পর সে আর কোনো তথ্যও দিতে চায় না।
রুবেলের বৃদ্ধা মা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘কবে আমার ছেলে দেশে আসবে কিংবা জীবদ্দশায় দেখা ভাগ্যে জুটবে কিনা আমি জানিনা’। হারানো ছেলের সন্ধান পেতে প্রধানমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে তিনি দ্রুত কার্যকরী উদ্যোগ নেয়ার আকুতি জানান।
এইচকেআর
