পাথরঘাটায় ইউপি সদস্যের হাতে শিক্ষক লাঞ্চিত


বরগুনার পাথরঘাটায় পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ৯৪ নং চরলাঠিমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলামকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ফাইজুল কবির এর বিরুদ্ধে। তবে অভিযোগ অস্বীকার কারে ফাইজুল কবির জানিয়েছেন, তাঁর স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন সময় বিদ্যালয়ের টাকা উত্তোলন করে ওই শিক্ষক অত্মসাৎ করেছেন বলে দাবি করেন, এনিয়ে মামলাও চলমান আছে বলে জানান।
সোমবার বেলা বারোটার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বসে লাঞ্চিত করার বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম। এর আগে রোববার দুপুর ১ টার দিকে উপজেলার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ৯৪ নং চরলাঠিমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ফাইজুল ইসলাম পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং ৯৪ নং চরলাঠিমারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ৯৪নং চরলাঠিমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতে কিছু অর্থ বরাদ্ধ আসে। সেই টাকা দিয়ে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বিদ্যালয়ের জমিতে টয়লেট নির্মান করার কাজ শুরু করেন। এ খবর পেয়ে স্কুল কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য মোহাম্মদ ফাইজুল করিম টয়লেটটি অন্যত্র বসানোর জন্য বলেন। তিনি সভাপতির কথা না শুনে নির্মানকাজ চালাতে থাকেন। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও ফাইজুল কবির এর সাথে কথা কাটাকাটি শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে ফাইজুল প্রধান শিক্ষককে গালিগালাজ সহ চড়থাপ্পর ও লাথি মারে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. ফাইজুল কবির জানান, তাঁর সাথে আমার কোন মারধরের মতো ঘটনা ঘটেনি। তবে বিভিন্ন সময় ওই শিক্ষক স্কুলের স্লিপসহ বরাদ্ধের টাকা কমিটির কাউকে না জানিয়ে আমার স্বাক্ষর জাল করে উত্তোলন করে নিজে আত্মসাৎ করেছে। এ নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান আছে। হয়তো এ থেকে বাঁচার জন্য আমার বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক এ মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা টিএম শাহ আলম জানান, ঘটনার সময় ওই প্রধান শিক্ষক আমাকে ফোনে লাঞ্ছিত এবং হুমকি ধামকির বিষয়টি বলেছেন। ওই সময় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে কিনা জানিনা। তবে সভাপতির বিরুদ্ধে এরকমের আচরনের অভিযোগ আগে থেকেই ছিলো।
এইচকেআর
