রাজাপুরে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া তিন নবজাতকের মৃত্যু


ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার চারাখালি গ্রামে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া তিন নবজাতকই মারা গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে দুইজন এবং দুপুরে অপর এক নবজাতক মারা যায়। দুপুরে জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মারা যাওয়া ওই নবজাতকের নাম রাখা হয়েছিল- খলিলউল্লাহ, ইমাম ও আব্দুর রহমান। বুধবার ভোররাতে নাজমিন বেগম নামে এক গৃহবধূ একসঙ্গে তিন নবজাতকের জন্ম দেন। নাজমিন চাড়াখালি গ্রামের হারুন জোমাদ্দারের মেয়ে। সে পিরোজপুরের হুলারহাটের মৃত সোবাহানের ছেলে রিকশাচালক ইউনুচ হাওলাদারের দ্বিতীয় স্ত্রী। রিকশাচালক স্বামীও তেমন একটা খোঁজ খবর নিতেন না স্ত্রী নাজমিনের।
গালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইলিয়াস হোসেন ফরাজি ও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মরিয়ম বেগম জানান, নাজমিন বেগমের স্বামী খোঁজখবর না নেওয়ায় পঙ্গু বাবা হারুনের সংসারে ৪ বছর বয়সী মেয়ে লিমাকে নিয়ে থাকতেন নাজমিন। আর্থিক সংকটের কারনে বাবার বাড়িতেই বুধবার ভোররাতে একসঙ্গে তিন ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পর অর্থাভাবে হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছেও যাননি তাঁরা। চিকিৎসার অভাবে হয়তো শিশু তিনটি মারা গেছে বলেও জানান ইউপি সদস্যরা।
নাজমিন বেগম বলেন, আমাকে আল্লাহ একসঙ্গে তিনটি পুত্র সন্তান দিয়েছিলেন। আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছিলাম। আমার তিন সন্তানই মারা গেছে। আমার বুক খালি হয়ে গেছে।
এএজে
