আট মাসে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স

চলতি বছরের অক্টোবর মাসেও কমেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। এসময় ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ১২ কোটি ১৪ লাখ বা ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আগের মাসের একই সময়ে এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার। সেই হিসেবে এক মাসের ব্যবধানেরও রেমিট্যান্স কমেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে ২’শ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসলেও সেপ্টেম্বরে তা কমে ১৫৩ কোটি ডলারে নেমে আসে। সেপ্টেম্বরের মতো চলতি অক্টোবর মাসে আরো কিছুটা কমেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। অক্টোবর শেষে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ ডলার। যদিও গত বছরের অক্টোবরে ১৬৬ কোটি ৬৮ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
আলোচ্য সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩০ কোটি ৭২ লাখ ডলার। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে মাত্র ৭১ লাখ ডলার।
রেমিট্যান্সের এই নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যেই রেমিট্যান্সে ডলারের দর কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ফরেন ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বাফেদা) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)। যা গতকাল থেকে কার্যকর হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স আহরণে ডলারের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৭ টাকা, যা এতদিন ছিল ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা।
অন্যদিকে, রেমিট্যান্স কমায় রিজার্ভেও চাপ তৈরি হচ্ছে। রোববার দিন শেষে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচকের পরিমাণ ছিল ৩৫ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। ২০২০ সালের ৩০ জুনের পর যা সর্বনিম্ন। গত আগস্ট মাসে আমদানি খাতে ব্যয় হয়েছে ৬ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে বর্তমানের রিজার্ভ দিয়ে পাঁচ মাসের কিছু বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
এএজে
