পায়রার ভাঙনে আতঙ্ক, বিলিনের পথে ঘরবাড়ী


বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের বৈঠাকাটা গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে বিলিনের পথে একটি গ্রাম ।
পায়রা নদীর বেড়িবাঁধে হঠাৎ ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। বেড়িবাঁধ ভাঙতে ভাঙতে সামান্য কিছু অংশ বাকি আছে। বেড়িবাঁধ সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে এলাকার মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুটি স্থানে ২০০ মিটার ধ্বসে গেছে। শনিবার বিকালে বাঁধে ধস নামলেও এখন পর্যন্ত ওই অংশ মেরামতের কাজ শুরু হয়নি। ফলে গ্রামবাসী বড় ধরনের ভাঙনের আশঙ্কা করছেন। নদীর উত্তাল ঢেউয়ে বাকি অংশটুকু একটু একটু করে ভাঙছে। বাঁধটির পুরো অংশ ভাঙলে উপজেলার বৈঠাকাট, ঘটখালী, বেতমোড়সহ কয়েকটি গ্রাম পায়রা নদীর পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। নষ্ট হতে পারে ফসলি জমি, প্রাণহানি ঘটতে পারে মানুষসহ সম্পদের। এ ছাড়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, মাছের ঘের তলিয়ে যাবে। এমনকি পুরো ইউনিয়নও তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। এতে শত শত পরিবার বিপাকে পড়বে।
পায়রা নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, বৈঠাকাটা বেড়িবাদের ৫ মিটার দূরত্বে বাঁধের ভাঙনস্থান। ভাঙন বাঁধের দক্ষিণ দিকে ঢুকছে। পানির স্রোতে বাঁধ থেকে ধীরে ধীরে মাটি সরে যাচ্ছে। ভাঙনের স্থানগুলো বিশাল আকার ধারণ করছে।
এলাকাবাসী এছমাইল মিয়া বলেন, একটু হলেই আমার বাড়ী ঘর ভাঙ্গা শুরু হবে। বর্তমান বাড়িটি একেবারেই বাঁধের কোল ঘেঁষে। পরিবার নিয়ে কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। পানি এলে সবকিছু তছনছ হয়ে যাবে। এই বয়সে আর টানাটানি ভালো লাগে না।’
কুলছুম নামের এক নারী বলেন, ‘আমার ঘরে রান্না হয় নাই নদীর ভাঙনের জন্য। কোন সময়ে জানি নদীতে সবকিছু ভেসে যায়। বাচ্চাদের নিয়ে খুবই বিপদে আছি।’
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই স্থানে আমাদের লোক পাঠানো হবে। দ্রত বাঁধ সংস্কার করে দেওয়া হবে।
এইচকেআর
