আমতলীতে মন্দিরের মন্ডপে মন্ডপে চলছে পূজোর প্রস্তুতি
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে আমতলী উপজেলায় মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা বেড়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের বিভিন্নস্থানে তাই সাড়ম্বরে প্রস্তুতি চলছে।প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। মন্ডপের সাজসজ্জাসহ সার্বিক প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছেন আয়োজক ও পূজা উদযাপন কমিটি। আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে শুরু হবে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।
আমতলী উপজেলায় ১৪ টি মন্ডপে দুর্গা প্রতিমা বসবে। তারই সাজসজ্জায় ব্যস্ত আয়োজকরা। শারদীয় উৎসব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এ্যাড, হরিহর চন্দ্র দাস। প্রতিমা তৈরির প্রস্তুতি প্রণালী: একটি প্রতিমা তৈরিতে বাঁশ, পেরেক ব্যবহার করে কাঠামো তৈরি করা হয়।
তাঁরপর কাঠামের সঙ্গে খড় বা বিচালি দিয়ে পাটের রশি বা দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়। পরে মাটি দিয়ে সংযুক্ত করে পাট, বালি ও মাটির সংমিশ্রণ করে বিভিন্ন রকম প্রতিমা মূর্তি তৈরি করা হয়। এগুলো করতে ধীরে ধীরে, শুকানোর জন্য সময় দিতে হয়। কিছু দিন পর মাটির তৈরি গহনা বা ইমিটেশান গহনা ব্যবহার করা হয়। শেষ পর্যায়ে বিভিন্ন রং এর সাহায্যে পরিপূর্ন দেওয়া হবে তৈরিকৃত প্রতিমার।
মূর্তি গড়ার কাজ দ্রুত গতিতে এড়িয়ে চলেছে। কিছুদিন পর থেকেই রংয়ের কাজ শুরু হবে। দশভূজা দেবী দুর্গা এবার আসছেন ঘোড়ায় চড়ে। আর ফিরে যাবেন নৌকায়। পূজাকে কেন্দ্র করে তাই সর্বত্রই চলছে সাজ সাজ রব।
উল্লেখ্য, শারদীয় দুর্গাৎসব ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর মহাদশমীতে বিসর্জন মধ্য দিয়ে পূজা সমাপ্তি হবে বলে জানান, উপজেলা পুজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি এ্যাড: হরিহর চন্দ্র দাস।
আমতলী থানার অফিসার অফিসার ইনচার্জ একেএম মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, পূজা উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা থাকবে। যাতে হিন্দু ধর্মের অনুসারীরাসহ সকলে শান্তিপূর্ন ভাবে পূজার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে পারে।
এইচকেআর
