বাউফলে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১০


পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর তাঁতেরকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদের উপনির্বাচনে একটি কেন্দ্রে পুলিশের ওপর হামলা ও তিন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মহিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাফিজুর রহমান বাদি হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫০ অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মঙ্গলবার রাতে ওই মামলা করেছেন। ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে নয় আসামিকে ও দুপুরে আরও এক আসামিসহ মোট ১০ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলেন মো. ইউনুচ (৩০), মো. জহিরুল ইসলাম(৪২), মো. জাহিদুল ইসলাম(১৯), মো. আনিচুর রহমান মুন্সি(৪৫), মো. সজিব হাওলাদার (২২), মো. সিজান মাহমুদ (১৯),মো. আরিফুর রহমান (২৫), মো আনোয়ার মোল্লা (৩৮), মো. জুয়েল চৌকিদার (২৭) ও মো. হাফিজুর রহমান (৬২)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপনির্বাচনে সারা দিন শান্তিপূর্ণভাবে ছোট ডালিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষ করে পরিদর্শক মো. হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে ফিরে যাচ্ছিলেন। এ সময় নৌকার আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইব্রাহিম ফারুকের সমর্থিত কর্মী অহিদুজ্জামান ওরফে দুলাল আকন (৪০) ও তাঁর ছোট ভাই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন আকনের (৩৭) প্রায় দেড়শ কর্মী-সমর্থক পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়েন। এ সময় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) দিপক, কনস্টেবল মো. রাহাত ও মো. সজীব আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।’
এ সংক্রান্ত গনমাধ্যমে মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) ‘বাউফলে ইউপির উপনির্বাচন শেষে পুলিশের ওপর হামলা’ শীর্ষক একটি স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
এইচকেআর
