ঢাকা শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

Motobad news

১১ দিনে মাসের বিল, গ্রাহকের তোপের মুখে মিটার রিডার 

১১ দিনে মাসের বিল, গ্রাহকের তোপের মুখে মিটার রিডার 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ভোলার লালমোহনে ১১ দিনের মাথায় নতুন বিল নিয়ে গ্রাহকের কাছে গেলে জনতার তোপের মুখে পড়েছে পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডার। 

শুক্রবার জুমার আগে উপজেলার সদর লালমোহন ইউনিয়নের মক্তব বাজার এলাকায় তোপের মুখে পড়া মিটার রিডার মাহবুবকে লালমোহন থানা পুলিশ গিয়ে নিয়ে আসে। 

ওই এলাকার বাসিন্দা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক বিল্লাল হোসেন জানান, মক্তব বাজার এলাকার সকল গ্রাহকের পল্লী বিদ্যুতের মাসিক বিল গত মে মাসের ৩১ তারিখে ইস্যু করা হয়েছে। ওই বিল পরিশোধের শেষ তারিখ ছিল ১৯ জুন। যথারীতি গ্রাহকরা ১৯ জুনের মধ্যে বিল পরিশোধও করে। 

কিন্তু শুক্রবার জুন মাসের আরেকটি বিলের কাগজ নিয়ে আসে পল্লী বিদুতের স্টাফ। তাতে বিল ইস্যুর তারিখ লেখা আছে ১১ জুন। তা পরিশোধ করতে হবে ৩০ জুনের মধ্যে।

 গ্রাহকরা বিলের কাগজ যাচাই করে ৩১ মে ইস্যু করা বিলের পর আবার ১১ জুন নতুন বিল ইস্যু করার সময় নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন। ১১ দিনের মাথায় নতুন মাসের বিল কিভাবে হয় এর কারণ জানতে চেয়ে বিল দিতে যাওয়া স্টাফকে অবরুদ্ধ করে জনতা।

পরে লালমোহন থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ওই স্টাফকে নিয়ে আসেন। বাজারের দোকানদার গ্রাহক ফরিদ উদ্দিন জানান, মে মাসের বিলে প্রত্যেক গ্রাহকের যেই টাকা ধরা হয়েছে, ১১ দিন পর জুন মাসের বিল করে আবার একই পরিমাণ বিল করে নতুন কাগজ ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিলের টাকায় কারো কোন পরিবর্তন হয়নি। ১১ জুনের পর থেকে তাহলে আরেকটি বিলের কাগজ দেওয়া হতো কি না গ্রাহকদের প্রশ্ন রাখেন স্থানীয়রা।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে একই এলাকার মোতাহার নামে আরেক গ্রাহককে ৮৩১ টাকার বিল দেওয়া হয়েছে। ওই গ্রাহক বিলের ইউনিট ও মিটারের সাথে মিলিয়ে অসামঞ্জস্য পাওয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গেলে তারা ভুল স্বীকার করে ৬২১ টাকা করে দেন।

লালমোহন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মোতালেব খান জানান, এভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয় পল্লী বিদ্যুৎ। যারা বুঝতে পারে তারা হয়তো অফিসে গিয়ে ঠিক করাতে পারে, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই তাদের ইচ্ছামতো বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হয়। এর প্রতিকার হওয়া উচিৎ।

এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম মাহমুদুল হাসান জানান, গত মাসে স্টাফরা ঢাকায় আন্দোলনে ছিল। যার কারণে ঠিকমতো বিল করা সম্ভব হয়নি। তখনকার বিল সমন্বয় করতে এভাবে বিল করা হয়েছে।
 


গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন