‘দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন চায়, ইনসাফভিত্তিক শাসন চায়’


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, বরিশাল মহানগর আমীর ও বাবুগঞ্জ-মুলাদী আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর বলেন, জেল-জুলুম, হত্যা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে কোনো আদর্শিক আন্দোলনকে দমন করা যায় না। জামায়াতে ইসলামীর দীর্ঘ সংগ্রামী ইতিহাসই তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ। এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি ও দলের প্রতীক ফিরে পাওয়া হচ্ছে সত্যের বিজয়। যারা স্বৈরশাসন কায়েম করে নির্যাতন চালিয়েছে, আল্লাহর হুকুমেই তাদের পতন হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে ইনশাআল্লাহ।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় বাবুগঞ্জ উপজেলার কলেজ গেট এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি, দলীয় নিবন্ধন পুনরুদ্ধার এবং নির্বাচনী প্রতীক ফিরে পাওয়ায় শুকরিয়া আদায়ে শোকরানা সমাবেশ ও মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন পরিবর্তন চায়, ইনসাফভিত্তিক শাসন চায়। জামায়াতে ইসলামী একটি মানবিক দল। আমাদের আমীর ডা. শফিকুর রহমান একজন আল্লাহভীরু, প্রজ্ঞাবান ও মানবিক নেতা। তাঁর নেতৃত্বেই এ জাতি একটি কল্যাণরাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখছে। যারা দেশকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির ঘূর্ণাবর্তে নিক্ষেপ করেছে, জনগণ তাদেরকে আগামী নির্বাচনে প্রত্যাখ্যান করবে।
এসময় তিনি মীরগঞ্জ নদীর ওপর সেতু নির্মাণ এবং বাবুগঞ্জ-লাকুটিয়া সড়কের পূনঃনির্মাণ কাজ দ্রুত শুরু করার দাবি জানান।
উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে বাংলাদেশ শোকরানা সমাবেশ ও মিছিলে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা জামায়াতের আমীর উপজেলা আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম।
সঞ্চালনা করেন উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুস সালাম মাঝী। এসময় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপজেলা আমীর অধ্যাপক মাওলানা রুহুল আমীন শিকদার, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা রুহুল আমীন পাহলোয়ান, মাওলানা হাসান আলী, মাওলানা আতাহার আলী, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, সৈয়দ আলী হোসেন লাভলু, সৈয়দ আলতাফ হোসেন, হাফেজ আব্দুল করিম, রুহুল আমীন আল-আমিন, মাস্টার ওমর ফারুক প্রমুখ।
পরে একটি বর্ণাঢ্য মিছিল কলেজ গেট থেকে শুরু হয়ে বাবুগঞ্জের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্টিল ব্রিজ এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
এইচকেআর
