জয়ের দ্বারপ্রান্তে পাকিস্তান
প্রবাথ জয়সুরিয়ার মায়াবী ঘূর্ণি এখনও পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় ভরসা। দ্য গলে যদি অঘটন ঘটাতে পারে, তাহলে এই স্লো বাঁ-হাতি অর্থোডক্স স্পিনারই পারেন। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে এখনও পর্যন্ত নিয়েছেন ২ উইকেট।
তবে এই স্পিনারের ঘূর্ণি উপেক্ষা করে দুর্দান্ত এক জয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে পাকিস্তান। ৩৪২ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করে এরই মধ্যে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে এসেছেন ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক এবং অধিনায়ক বাবর আজম।
৩৪২ রানের বিশাল লক্ষ্য। চতুর্থ ইনিংসে লঙ্কান স্পিনারদের মায়াবী ঘূর্ণি তোপের মুখে পড়তে হবে সন্দেহ নেই। তবে পাকিস্তানি ব্যাটাররও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তারা এই রান তাড়া করবেই। সে লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিন তিন উইকেট হারিয়েছে তারা। দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২২২ রান। জয়ের জন্য পঞ্চম দিন প্রয়োজন কেবল ১২০ রান।
বাবর ৫৫ রান করে জয়সুরিয়ার বলে বোল্ড হয়ে গেলেও ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূরণ অপরাজিত রয়েছেন শফিক। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে ১১২ রান নিয়ে উইকেটে রয়েছেন তিনি। পঞ্চম দিন আবদুল্লাহ শফিকের সঙ্গে ৭ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামবেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।
এই টেস্টে এমনিতেই অসাধ্য সাধন করছে পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে ৭ উইকেট এবং ১৪৮ রানে ৯ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাবর আজমের অসাধারণ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ২১৮ রান করতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪ রানে পিছিয়ে ছিল তারা।
দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কা অলআউট হয় ৩৩৭ রানে। তাদের লিড দাঁড়ায় ৩৪১ রানের। জিততে হলে পাকিস্তানের করতে হবে ৩৪২ রান। যা করতে পারলে রীতিমত ইতিহাসই তৈরি হবে। কারণ, দ্য গলে সর্বোচ্চ ২৬৮ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড রয়েছে। পাকিস্তান জিতলে সেটা হবে রেকর্ডই।
সে লক্ষ্যে ভালোভাবেই এগিয়ে চলছে পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতেই ৮৭ রান তুলে ফেলে তারা। ইমাম-উল হক আউট হন ৩৫ রান করে। আজহার আলি আউট হন ৬ রান করে। ১০৪ রানে আজহার আউট হওয়ার পর আবদুল্লাহ শফিককে নিয়ে ১০১ রানের জুটি গড়েন বাবর। ৫৫ রান করে আউট হয়ে যান তিনি জয়সুরিয়ার বলে বোল্ড হয়ে।
শেষ দিন ভাঙা উইকেটে যদি জয়সুরিয়া ঘূর্ণিঝড় তোলেন, তাহলেই কেবল জয় সম্ভব শ্রীলঙ্কার। না হয়, যে ধারায় ব্যাট করছে পাকিস্তান, তাতে জয় হবে হয়তো তাদেরই।
এএজে
