বাউফলে জামিনে ছাড়া পেয়ে চারজনকে কুপিয়ে জখম


স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মারধর করে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান মো. জসিম আকন (৩৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই মো. রাহাত (৩০)। জামিনে ছাড়া পেয়েই ফের তাণ্ডব শুরু করে দিয়েছেন। ফের চার ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
এমন ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালীল বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) উপনির্বাচনে পোষ্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে করে রামনগর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম মহসীনের ওপর গত শুত্রবার বিকেলে হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় মামলা হয়। ওই মামলায় নাজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. হাকিম আলী আকনের ছেলে জসিম ও মো. হানিফ আকনের ছেলে মো. রাহাত শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার হন। সোমবার (১২ জুলাই) দুজনেই জামিনে ছাড়া পান। ছাড়া পেয়ে তাঁরা আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তাঁরা আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইব্রাহিম ফারুকের সক্রিয় কর্মী ও আত্মীয়।
চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম মহসীনের ছোট ভাই আহসান হাবিব অভিযোগ করেছেন, সোমবার দুপুরের দিকে জসিম ও রাহাতের নেতৃত্বে তাঁর ভাইয়ের ধানদী বাজারের নির্বাচনী কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে পুলিশ গিয়ে খুলে দেয়। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ছয়হিস্যা চার রাস্তার মোড় বাজার এলাকায় চশমা প্রতীকের প্রচারণায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে মাইকের ব্যাটারী পানিতে ফেলে দেওয়া হয়। সন্ধ্যার দিকে রামনগর ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসা এলাকায় চশমা প্রতীকের পোষ্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে রাকিব (২০), মো. শুভ (২১), মো. অমিত (২০), মো. রমজান (২৫) নামে চশমা প্রতীকের চার কর্মীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। তাঁদের মধ্যে রাকিবের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ওই রাতেই তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে জসিম ও রাহাত অভিন্নভাবে বলেন,‘তাঁরা কোনো ঘটনার সঙ্গেই জড়িত না।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন,‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
এএজে
