বাউফলে স্বামী ও স্ত্রীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বসতঘর উচ্ছেদের চেষ্টা
_13-7-22.jpg)

জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে পটুয়াখালীর বাউফলে হামলা চালিয়ে এক দম্পত্তিকে মারধর করে হাত-পা বেঁধে ঘর উচ্ছেদের চেষ্টা চালিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। ওই সময় ঘরের আসবাব ভাঙচুর ও কুপিয়ে তছনছ করে এবং টিনের বেড়া খুলে ফেলে পুকুরে ফেলে দেয় হামলাকারীরা।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের বাবুরহাট এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগিদের ভাষ্য মতে,বাউফল উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের বাবুর হাট এলাকার মো. আলতাফ মৃধার (৫৭) সঙ্গে একই উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের চরআলগী আবদুল বারেকের (৬০) জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে বর্বোরোচিত ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগিদের অভিযোগ আবদুল বারেকের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ঘর উচ্ছেদের জন্য ওই হামলা চালিয়েছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, ঘরের সামনের ও দক্ষিণ পাশের টিনের বেড়া খুলে ফেলা হয়েছে। বাকি দুই পাশের বেড়াও ভাঙচুর ও কোপানো হয়েছে। ঘরের মধ্যে শুয়ে আছেন আলতাফ মৃধা।
আলতাফ মৃধার স্ত্রী মমিননেছা বেগম বলেন,প্রথমে সন্ত্রাসীরা তার কেটে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাঁকে (মমিননেছা) ও তাঁর স্বামীকে মারধর করে মুঠোফোন নিয়ে যায় এবং তাঁদের দুজনের হাত-পা বেঁধে ঘরের বাহিরে গাছের সঙ্গে বেঁধে ঘরের আসবাব পিটিয়ে ও কুপিয়ে ভাঙচুর করে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। ঘরের সামনের ও দক্ষিণ পাশের টিনের বেড়া খুলে ফেলে এবং ঘরের পিছনের অংশে রাখা জ্বালানি কাঠে আগুন লাগিয়ে দেয়। তাঁদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নিভায়। খবর পেয়ে তাঁর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (৩০) পুলিশের হটলাইন ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানের আগেই সন্ত্রাসীরা সরে যায়।
এ বিষয়ে আবদুল বারেক বলেন,‘তাঁর (আবদুল বারেক) জমিতে জোড়পূর্বক ঘর উঠিয়ে বসবাস করছেন আলতাফ হোসেন। স্থায়ীভাবে থাকার জন্য নিজেরা (আলতাফ) হামলা, ভাঙচুর ও আগুনের নাটক সাজিয়েছে।’ তিনি (আবদুল বারেক) ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত না বলেও দাবি করেন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন,‘জমির বিরোধের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই ঘটনা ঘটেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএজে
