ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫

Motobad news

প্রান্তিক পর্যায়ে পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেন

প্রান্তিক পর্যায়ে পশুর হাটে ডিজিটাল লেনদেন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্টের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ মোহাম্মদ জিয়াউল হক দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে ডিজিটাল লেনদেন সেবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমে দেশের যেকোনো প্রান্তের নাগরিককে খুব সহজে সংযুক্ত করাই এর মূল লক্ষ্য বলে।

বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে বনানীর শেরাটন হোটেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাইলট প্রকল্প ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট হাট’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ পদ্ধতির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

শাহ মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, গত বছর থেকে কোরবানির হাটকে ডিজিটাল করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জনগণকে আমরা এবার গরুর হাটের উৎসবের আমেজকে ডিজিটাল করতে চাই। সেটা হলো ডিজিটাল লেনদেন। তাহলে কোনো ঝুঁকি থাকবে না। জাল টাকার লেনদেনও থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, কোরবানির পশুর হাটে উদ্ভূত সব সমস্যা নিরসনে এবং জনগণের পেমেন্ট প্রদান প্রক্রিয়া সহজীকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এবারের ঈদুল আজহার পশুর হাটে ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতিতে লেনদেন ত্বরান্বিত করতে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট হাট’ নামে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন যৌথভাবে এ কাজ করছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন এ বিষয়ে কার্যকর সহযোগিতা প্রদান করেছে।

হাটসমূহে পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে কার্ড স্কিম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান, মাস্টার কার্ড, ভিসা ও আমেরিকান এক্সপ্রেস; ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন ও পরিচালনার জন্য লিড ব্যাংক হিসেবে ৬টি বাণিজ্যিক ব্যাংক (ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড); এবং মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে বিকাশ লিমিটেড ও ইসলামী ব্যাংক এম ক্যাশ একযোগে কাজ করছে।

এ প্রকল্পের আওতাধীন প্রতিটি হাটে একটি করে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন করা হবে। যেখানে ক্রেতারা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পিওএসে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, কিউআর কোডের মাধ্যমে অথবা বুথে স্থাপিত এটিএম মেশিন থেকে নগদ অর্থ উত্তোলন করেও বিক্রেতাকে পশুর মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এ পাইলট প্রকল্প একদিকে ক্রেতার নগদ অর্থ বহনের ঝুঁকি, নকল বা ছেঁড়া/ফাটা নোট সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অন্যদিকে এ ব্যবস্থায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রান্তিক খামারিরা নগদ অর্থ বহন সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্ত হবেন এবং ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ভবিষ্যতে অর্থায়ন, ডিপোজিট সংক্রান্ত অন্যান্য সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন; যা সার্বিকভাবে দেশজ অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।


এমইউআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন