ঝালকাঠীতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গরু চোর শনাক্ত


ঝালকাঠী জেলার রাজাপুরে পুলিশের সিসি টিভি ক্যামেরায় গরু চোর সনাক্ত হয়েছে। এ ঘটনায় এক কসাই ও তিন সহযোগী সহ চার জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে মামলার মূল আসামী এখনও পলাতক।
চুরি হওয়া গাভীর মালিক রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তারাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. বাদল হোসেন হাওলাদার। তিনি পিরোজপুর ভান্ডারিয়া উপজেলার শতবর্ষী বিহারি লাল মিত্র পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের শিক্ষক।
তিনি আরও জানান, সকালে গাভীটি গোয়ালে না দেখে ছোট ভাই সজল আমাকে খবর দিলে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সম্ভাব্য সকলস্থানে খোঁজা খুঁজি করেছি। কোথাও খোজ না পেয়ে ১৯ জুন রাজাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।
পরে রাজাপুর ও কাউখালী থানা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে সন্দেহ জনক বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। এই ফুটেজ ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পিকআপ চালক মিজান জোমাদ্দারকে আটক করে রাজাপুর থানা পুলিশ।
এদিকে প্রতিবন্ধী পিকআপ চালক মিজান জোমাদ্দারের স্বীকারোক্তি মোতাবেক যে কসাই গাভীটি জবাই করেছে তাকে সহ মোট চার সহযোগিকে আটক করে রাজাপুর থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে ঐ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো. মামুন হোসেন জানান, এ ঘটনায় পিকআপ চালক মিজান, কসাই ইলিয়াস আলী বাবু এবং মূল চোরের বাবা ইউনুস আলী বয়াতি সহ জড়িত মোট চার জনকে কোর্টের মাধ্যমে ঝালকাঠী জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বর্তমানে তারা ঝালকাঠী জেল হাজতে রয়েছে। তবে মূল হোতা জাহিদ বয়াতি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতারের জোড় চেষ্টা চলছে। এছাড়া গাভী চোর জাহিদের বিরুদ্ধে ইতি পূর্বে বিভিন্ন থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
এমইউআর
