ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫

Motobad news

বামপন্থীদের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ

বামপন্থীদের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

হামলায় ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি অনীক রায় গুরুতর আহত হয়েছেন।
রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় সীতাকুণ্ডে ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনার বিচারের দাবিতে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর মিছিলে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। হামলায় ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি অনীক রায় গুরুতর আহত হয়েছেন।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন ও ভয়াবহ বিস্ফোরণের হতাহতের ঘটনায় দায়ী দায়ী মালিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সোমবার বিকেল ৫ টায় বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়‍। ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও ছাত্র ফেডারেশনসহ আটটি বামপন্থী সংগঠনের জোট 'প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহ' ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিবাদসভা শেষে বামপন্থী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দিকে অগ্রসর হলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী মিছিলের পেছন দিক থেকে হামলা করে‍। এতে ছাত্র ইউনিয়নের অনীক রায়, অন্তু, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টর মোজাম্মেল হক, মাহমুদুল হাসান, নাহিয়ান রেহমান রাহাতসহ আরও অনেকেই আহত হন।

ছাত্র ইউনিয়ন জানায়, মিছিলে ছাত্রলীগ হামলা চালালে তা প্রতিহত করা হয়। তবে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি অনীক রায় গুরুতর আহত হন।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের প্রতিবাদে শাহবাগে সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে ছাত্রলীগের ৮-১০ জন নেতা-কর্মী আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ৭ জন আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি অনীক রায়, অন্তু রায়, ঢাবি শাখা ছাত্র ফ্রন্টের প্রচার সম্পাদক মোজাম্মেল হক, মাহমুদুল হাসান অর্ণব, নাহিয়ান রাহাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান সালমান সিদ্দিকী। এদের মধ্যে অনিক রায়ের মাথায় সাতটি সেলাই পড়েছে।

আহত অনীক রায় বলেন, চারুকলা অনুষদের ফটকের বিপরীত পাশে রাস্তায় তিনটি অ্যাম্বুলেন্স আটাকা পড়েছিল। অ্যাম্বুলেন্সগুলো বের করে দেওয়ার জন্য সেখানে রাস্তার পাশে পার্ক করে রাখা কয়েকটি মোরটরসাইকেল আমরা সরিয়ে রাখি। ওই মোটরসাইকেলগুলো ছিল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের। পাশের চায়ের দোকান থেকে এসে তারা আমাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ায় ও এক পর্যায়ে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।

হামলার অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমি জানতে পেরেছি যে বামপন্থীদের মিছিলের কারণে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স আটকা পড়েছিল। সেখানে মোটরসাইকেলে থাকা সুর্যসেন হলের সুজনসহ দুইজন সাধারণ শিক্ষার্থী অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে ছেড়ে দিতে বললে তাদের মারধর করা হয়। এর পর আরও কিছু শিক্ষার্থী সেখানে এসে মারধরের কারণ জানতে চায় ও একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।

সূর্যসেন হলের সূত্রগুলো জানায়, হামলকারীদের মধ্যে থাকা সুজনের পুরো নাম মারুফ সুজন। তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। এর আগে ক্যাম্পাসে আরও কয়েকটি মারপিটের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল।


এএজে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন