ঢাকা সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

Motobad news

বদলে গেছে আমতলীর গ্রামীণ জীবন

বদলে গেছে আমতলীর গ্রামীণ জীবন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

প্রযুক্তি সম্পর্কে গ্রামঞ্চলের  মানুষগুলো কয়েক বছর আগেও জানত না কিছুই। আজ তারাই  এগিয়ে যাচ্ছে  প্রযুক্তির হাত ধরে। বলছিলাম বরগুনার আমতলী উপজেলার কথা।

এখানে প্রতিটি ইউনিয়নে গড়ে উঠেছে ডিজিটাল সেন্টার। গ্রামীণ জনপদে শিক্ষা, কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্যসেবা, হাট-বাজার, আইনি পরামর্শসহ সব সমস্যার সমাধান পাওয়া যাচ্ছে তৃণমূলের এই ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে। 

বর্তমানে উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে প্রায় সব কার্যক্রমই হয়ে উঠেছে অনলাইন কেন্দ্রিক। এতে তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে তথ্যসেবা। যার কারণে বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রার ধরন। এক কথায় আমতলীর  ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলো  গ্রামীণ জনপদে হয়ে উঠেছে প্রযুক্তির বাতিঘর। 

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে দেয়া ভিশন ২০২১-এর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র নামে এই স্বপ্নবীজ বপন করা হয়। সাম্প্রতি এটিকে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার নামকরণ করা হয়।
ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে ১৩ ধরনের সেবা দেয়া হলেও এখন সেই পরিধি আরও বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে আমতলী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় ৮টি ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে সেবা কার্যক্রম।
 
কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টার ঘুরে দেখা গেছে, দেশের অন্যান্য সেন্টারের মতো এখানে কৃষি তথ্য সেবা, জন্ম নিবন্ধন বা মৃত্যু সনদ, ই-মেইল, ইন্টারনেট, অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির  আবেদন পূরণ কিংবা চাকরির আবেদন, সরকারি-বেসরকারি জাতীয় বা আন্তর্জাতিক যেকোনো প্রতিষ্ঠানের খবর সংগ্রহসহ যাবতীয় কাজ করা যায়।

প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত  গ্রামের সহজ-সরল সাধারণ মানুষদের মধ্যে নিরন্তর তথ্যপ্রযুক্তির আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রের উদ্যোক্তারা। এতে গ্রামীণ জনপদের সহজ-সরল মানুষ যেমন উপকৃত হচ্ছেন তেমনি বিপুল সংখ্যক তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। লাভবান হচ্ছে উদ্যোক্তারাও। 

কথা হয় আমতলী সদর  ইউনিয়নের উদ্যোক্তা মিঠু হলদিয়ার আরাফাত, চাওড়ার উত্তম আড়পাঙ্গাশিয়ার রাবেয়ার  সঙ্গে। তারা বলেন,‘এই ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছি আমরা। আগে বেকার বসে থাকতাম। এখন এখানে কাজ করি। এখানে কাজ করে আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের এখানে সকল ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়। কেউ নিরাশ হয়ে ফিরে যায় না। প্রতিটি ইউনিয়নেই  তাদের মত উদ্যোক্তারা সেন্টার পরিচালনা করেন।’ 

হলদিয়া ইউনিয়নের মো. মনির মিয়া বলেন,‘একটা সময় ছিল যে সময় জন্মনিবন্ধনসহ অনেক কাগজই পাওয়া কঠিন ছিল। কিন্তু ডিজিটাল সেন্টার হওয়ার কারণে সহজেই সব কিছু নিতে পাচ্ছি। আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে।’ 
আমতলী সদও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মো. মোতাহার উদ্দিন মৃধা   বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার গ্রাম পর্যায়ে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রামের সহজ সরল মানুষের অনেক উপকার হচ্ছে। সরকারের এমন মহৎ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি। 

আমতলী  উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ  জানান, বর্তমান সরকার প্রযুক্তি বান্ধব সরকার। সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে সেবা প্রদানের জন্যই প্রতিটি ইউনিয়নে এই ডিজিটাল সেবা প্রদান চালু করা হয়েছে। যার ফলে উপকৃত হচ্ছে গ্রাম পর্যায়ের মানুষ ।


এমইউআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন