ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

তরুণীকে ভারতে পাচারের পর পতিতালয়ে বিক্রি ,যুবক আটক

তরুণীকে ভারতে পাচারের পর পতিতালয়ে বিক্রি ,যুবক আটক
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

টিকটক ভিডিও করার সুবাদে তরুণীর সঙ্গে প্রেম করে তাকে ভারতে পাচারের পর কলকাতার পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগে সোহেল মিয়া নামে এক যুবককে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
 
সোহেল হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বেতাপুর গ্রামের কিবরিয়া মিয়ার ছেলে এবং ঘটনার স্বীকার তরুণী পাবনা সাঁথিয়া উপজেলার বাসিন্দা। মঙ্গলবার (২৪ মে) দুপুরে র‌্যাব হবিগঞ্জ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একইদিন সকালে মৌলবীবাজার জেলা সদর থেকে সোহেলকে আটক করা হয়। এর আগে এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানা পুলিশ।

পুলিশ ও র‌্যাব সূত্র জানায়, টিকটক ভিডিও তৈরি করার সুবাদে সোহেল মিয়ার সঙ্গে ওই তরুণীর ফেসবুকে পরিচয় হয়। তিন বছর আগে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। একপর্যায়ে মেয়েটিকে নিয়ে সাতক্ষীরার সীমান্ত পথে অবৈধভাবে ভারতে পাড়ি জমান সোহেল। সেখানে কলকাতা শহরে ওই তরুণীকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেন প্রেমিক সোহেল। সেখানে আট/নয় মাস অবস্থানের পর একই সীমান্ত দিয়ে কৌশলে পালিয়ে আসেন মেয়েটি।  

প্রেমিক সোহেলও কিছুদিন পর ভারত থেকে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে দেশে ফেরেন। এরপর চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ আদালতে সোহেল তার প্রেমিকাকে বিয়ে করেন। কিছুদিন স্ত্রীকে নিয়ে হবিগঞ্জে নিজ বাড়িতে অবস্থান করেন সোহেল। এরই মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন মেয়েটি।  আবার স্ত্রীকে ভারতে পাচার করতে পাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলতি বছরের ১৩ মে কৌশলে পাটগ্রামের দহগ্রামে পাঠান সোহেল। দহগ্রাম থেকে ভারতে পাঠানোর সময় পাচারকারীদের একজন মোকছেদুল ইসলাম ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। ভারতে পাচারের পর ওই নারী বুঝতে পারেন, স্বামী তাকে আবার পাচারকারীদের কাছে বিক্রি করেছে। পরে এ পথে ১৫ মে পুনরায় ফিরে আসেন তিনি। ফেরার পথেও অপর পাচারকারী আশরাফুল ইসলামের কাছে ধর্ষণের শিকার হন তিনি। ধর্ষণ করেও তাকে ছেড়ে দেয়নি পাচারকারী চক্রটি। টাকার জন্য আটকে রাখে। 

অবশেষে সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে ২১ মে সকালে পাটগ্রাম থানায় গিয়ে ঘটনার লোমহর্ষক বর্ননা দেন নির্যাতিতা নারী। থানার ওসি ওমর ফারুক নির্যাতিতা নারীর অভিযোগ আমলে নিয়ে রাতেই অভিযান চালিয়ে পাচার ও ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেন।গ্রেফতার তিনজন হলেন- পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের সরকারপাড়ার মৃত ওমর আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম ভুটুয়া (৩৫), একই এলাকার মুন্সিপাড়া গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে মোকছেদুল হক (৩২) ও পাটগ্রাম পৌরসভার রসুলগঞ্জ জুম্মাপাড়ার শফিক হোসেনের স্ত্রী চম্পা বেগম (৩৫)।এ ঘটনায় নির্যাতিত ওই নারী বাদী হয়ে ধর্ষণ ও মানবপাচার নিরোধ আইনে স্বামী সোহেলকে প্রধান করে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে পাটগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন। 
 


এএজে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন