আমতলীতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন
.jpg)

বরগুনার আমতলীতে এ বছর উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড জাতের বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ধানের দামও ভালো। তাই লাভবান হওয়ার আশা করছেন কৃষকরা।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর আমতলীতে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়ছিল ৩ হাজার ৩’শ হেক্টর। কিন্তু ওই লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়ে তিন হাজার ৮’শ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।
উচ্চ ফলনশীল হেক্টর প্রতি ১৪০ থেকে ৫০ মন হাইব্রিড ১৭৫ থেকে ১৮০ মন ধান ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বোরো ধান চাষের উপযুক্ত সময় মধ্য কার্তিক থেকে শুরু করে ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। বীজতলা থেকে শুরু করে পাঁচ মাসের মধ্যে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের ফলন আসে।
এ বছর অনাবৃষ্টির কারনে সেচ দিয়ে কৃষককের খরচ বেশী হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল জাতের বিরি-২৮, ,বিরি-৪৭ ও বিরি-৬৭, বিরি-৭৪, বিরি-৮৮ ও হাইব্রীড এসএল-৮ এবং ইস্পাহানী-২ ধান চাষ করছে কৃষকরা। কৃষকরা জানান, এক হেক্টর জমিতে উৎপাদন খরচ ৫৫ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা । বাজারে প্রতিমণ ধান ৭৫০-৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ধানের দাম ভালো থাকায় কৃষকরা এ বছর ভালো লাভবান হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার কুকুয়া, হলদিয়া, চাওড়া, আমতলী সদর ও ও আমতলী পৌরসভা, আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বোরো ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পাড় করছে কৃষকরা।
কুকুয়া ইউনিয়নের কৃষক হাফেজ উল্লাহ বলেন, ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে ধানের দামও ভালো। আশা করি ভালো লাভ হবে।
ঘোপখালী গ্রামের মো.দেলওয়ার হোসেন বলেন, এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং বাজারে ধানের দামও ভালো। ভালোই লাভবান হওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আড়ৎদার মিন্টু মিয়া বলেন, বাজারে মোটা ও চিকন দুই ধরনের ধান রয়েছে। চিকন ৮৫০ এবং মোটা ধান ৭৫০ টাকা মণ ধরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ধানের দাম ভালো। এতে কৃষকরা অনেক লাভবান হবে।
আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড জাতের বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ধানের দামও ভালো। এতে কৃষকরা লাভবান হবে ।
এমইউআর
